নর্দমার নোংরা জলে একাকার বাঘযতীন “এ” ব্লক অঞ্চল, কাউন্সিলরের উদ্যোগে রাতারাতি পরিষ্কার করা হলো রাস্তা । একদিনে রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু, অন্যদিকে আবার বর্ষার জমা জল, নর্দমার নোংরা জলে একাকার এলাকা,বর্ষার জল একদিকে অন্যদিকে জল জমার ফলে ডেঙ্গু আতংক। ফলে নাজেহাল বাঘাযতীনের স্থানীয় বাসিন্দারা , যদিও পুজোর আগে ডেঙ্গু আক্রান্ত বাড়তে থাকে বিগত বছর গুলোর পরিসংখ্যান বলছে এমনই। আগাম সতর্কতা হিসাবে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পৌরসভা। গত দুদিন আগেই সারারাত বৃষ্টির জেরে ভেসে ছিল গোটা এলাকা , উত্তর থেকে দক্ষিণ জল থইথই সর্বত্র। একাধিক রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। বাঘাযতীনের এলাকাবাসীর দাবি, ওই অঞ্চলে বিগত বছরগুলিতে কখনওই জল জমেনি।
কিন্তু এবছর বাঘাযতীন বাজার সংলগ্ন বাঘযতীন “এ” ব্লক অঞ্চলে এই বর্ষায় বারংবার বৃষ্টিতে জল জমছিল ইতস্তত ভাবে বাজার লাগোয়া অঞ্চলে,যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ক্ষতিগ্রস্ত ড্রেনেজ। জানা গিয়েছে বাজারের আবর্জনা,ময়লা এবং প্লাস্টিকের দরুন বাঘযতীন “এ” ব্লক অঞ্চলের হাই ড্রেনেজ সিস্টেম তীব্র ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ড্রেনেজ ক্ষমতা হারিয়েছে। যার ফলে জল জমছিল ওই এলাকায়। নাজেহাল স্থানীয় বাসিন্দারা আর ওপর খবর দেওয়া হয় ওই ওয়ার্ডের অর্থাৎ ৯৯ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতাকে।
৯৯ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা তথা কলকাতা কর্পোরেশনের অন্যতম MMIC মিতালী ব্যানার্জী , তিনি খবর পাওয়া মাত্র ছুটে যান সেই স্থানে। সব কিছু খতিয়ে দেখার পর সকাল থেকে ওই জায়গায় জল সরানোর কাজ শুরু হয় , পাশাপাশি তিনি মধ্যরাত পর্যন্ত দাড়িয়ে থেকে বাকেট মেশিনের দ্বারা যথাতৎপরতার সাথে ড্রেনেজ গুলি ক্লিয়ার করান।
আরও পড়ুন – কলকাতায় গড়ে উঠল ক্যানসার চিকিৎসার নতুন হাসপাতাল- মেডিকা অঙ্কোলজি
আর বর্ষার জমা জল নিষ্কাশনের পরেই হাসি ফোটে এলাবাসীদের মুখে , স্থানীয় বাসিন্দারা জানান যে , এখন ডেঙ্গুর উপদ্রব যার জেরে তারা আতঙ্কে ভুগছিলেন, পাশাপাশি তারা বলেন যে খবর টি দেওয়া মাত্র সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু হয় যার জন্য তারা বেজায় খুশি।
(সব খবর, ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube)