জোশীমঠের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির তালিকা প্রকাশ করল জেলা শাসক । জেলা শাসক জোশীমঠের বিপজ্জনক বাড়ির একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন। ধীরে ধীরে ধসে যাচ্ছে জোশীমঠ। বছরের প্রথম থেকেই প্রবল বিপর্যয় নেমে এসেছে জোশীমঠে। একের পর এক বাড়িতে ফাটল ধরেছে। ২০,০০০ মানুষের বাস জোশী মঠে। তার মধ্যে প্রায় সাড়ে নশো বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেই সব বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রবল ঠান্ডার মধ্যে এই বিপর্যয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে জেলা শাসককে তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সেই মত পরিদর্শন করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে জেলা শাসক। তাতে ৮৬৩টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছেন আর ১৮১ বাড়ি বাসের অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে। দাপে ধাপে সেই বাড়িগুলি ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইতিমধ্যেই বাসের অযোগ্য বাড়ি গুলিতে লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। জোশীমঠের জেলা শাসক হিমাংশু খুরানা জানিয়েছেন কোনও বাড়িতেই আর বাস করা যাবে না। অপরিকল্পিত নির্মাণের কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জোশী মঠে এমনই অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন – ভারত জোড়ো অভিযানের পরে এবার হাত সে হাত জোড়ো অভিযান
একের পর এক পাহাড় কেটে বাড়ি রাস্তা তৈরি করার জেরে ভূমি আলগা হয়ে গিয়ে ধসে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ২০২১ সাল থেকেই নাকি জোশীমঠ একটু একটু করে ধসে পড়তে শুরু করেছিল বলে সরকারি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ধামি সরকারকে এই নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিরোধীরা। সেই সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিপূরমের দাবি জানিয়েছেন। যদিও রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের দেড়লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।