ভোটের দিন কি বদলাবে? কেন্দ্রীয় বাহিনী, সিভিক কি থাকবে? প্রশ্ন মূলত একটাই। পঞ্চায়েত ভোটের দিন কি পিছিয়ে যাবে? এই একটি প্রশ্নের জন্যই আপাতত কলকাতা হাই কোর্টের পরবর্তী নির্দেশের দিকে হাপিত্যেশ করে তাকিয়ে রাজ্যের শাসক বিরোধী সব পক্ষ। যার জবাব সোমবার রাতের মধ্যেও আসতে পারে, আবার উত্তর পেতে মঙ্গলবারও হয়ে যেতে পারে। সোমবার বিকেলে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি। কিন্তু সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত শুনানির পরও স্পষ্ট হয়নি পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যৎ। কারণ এখনও মূল প্রশ্নগুলির জবাব কী হতে চলেছে, তা স্পষ্ট নয়— প্রথমত পঞ্চায়েত ভোট পিছোবে কি না? প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বাড়বে কি না? আর ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই হবে কি না।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। ছিল অন্য বিরোধীরাও।
আরও পড়ুন – বলিউডে পা রাখছেন সুহানা,কী বললেন শাহরুখ খান?
মূলত এই বিষয়েই নিজেদের নানারকম দাবি-দাওয়া-অভিযোগের কথা জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্যের বিরোধীরা। সোমবার যার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। কিন্তু শুনানিতে দেখা যায়, বিরোধীদের অধিকাংশ দাবিতেই সায় দিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি। এমনকি, এ ব্যাপারে রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কিছু প্রস্তাবও দিতে শোনা যায় প্রধান বিচারপতিকে। যার মধ্যে ভোটের দিন পিছোনোর পরামর্শ যেমন ছিল, তেমনই ছিল মনোনয়নের সময় বৃদ্ধি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভোট করানোর পরামর্শও। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আদালতের নির্দেশ কোন দিকে যেতে চলেছে, তা নিয়ে কিছুটা দ্বন্দ্বে রাজ্য, কমিশন। আবার বিরোধীরা বলছেন, আদালত যা বলেছে, তার সবটাই পরামর্শের ঢঙে। তাই শেষ পর্যন্ত এই বিষয়গুলি আদালতের তরফে রাজ্য বা কমিশনের কাছে নির্দেশ হিসাবে আসবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে তারা।