১৩৯ বছর পর বুদ্ধ পূর্ণিমায় বছরের প্রথম ছায়া চন্দ্রগ্রহণ! সৌভাগ্যকে টেক্কা দিতে এদিন কী কী একেবারেই করবেন না? পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ঘটতে চলেছে আগামী ৫ মে, শুক্রবার। পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে চলে আসে তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। বিজ্ঞানমতে, যখন সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সমান্তরাল রেখায় চলে আসে, তখন চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। চাঁদ ও সূর্যের মাঝে যখন পৃথিবী চলে আসে তখন কিছু সময়ের জন্য পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। এবার তুলা রাশিতে চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে। জ্য়োতিষমতে, চন্দ্রগ্রহণ খুবই বিশেষ হতে চলেছে। তার কারণ বুদ্ধ পূর্ণিমায় ১৩৯ বছর পর এমন মহাজাগতিক ঘটনা ঘটতে চলেছে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সূর্যগ্রহণের ঘটনাকে খুবই অশুভ মনে করা হয়। আগামী ৫ মে চন্দ্রগ্রহণ হবে একটি পেনাম্ব্রাল চন্দ্রগ্রহণ, যা ভারতের কোনও অংশেই দেখা যাবে না। তাই এর সুতক সময়ও বৈধ হবে না। তবে এই চন্দ্রগ্রহণ ইউরোপ, মধ্য এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, আটলান্টিক, ভারত মহাসাগর এবং অ্যান্টার্কটিকার মতো জায়গায় দেখা যাবে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, এই চন্দ্রগ্রহণ এই দেশগুলিতে রাত ৮টা ৪৪ মিনিট থেকে মধ্যরাত ১টা ২ মিনিট পর্যন্ত হবে।
চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদের কী কী কথা মাথায় রাখা উচিত?
১. পুরনো লোককথা অনুসারে, গ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদের ঘর থেকে বের হওয়া উচিত নয়।
২. গর্ভবতী মহিলাদের গ্রহণের সময় রান্না করা খাবার খাওয়া এড়ানো উচিত।
৩. গ্রহণকালে ভুল করেও ছুরি-কাঁচি বা কোনও ধারালো জিনিস ব্যবহার করা উচিত নয়।
চন্দ্রগ্রহণের সময় কী কী করবেন
১. চন্দ্রগ্রহণের সময় শুধুমাত্র ঈশ্বরের মন্ত্রগুলি জপ করা উচিত, যা দশগুণ ফলদায়ক বলে মনে করা হয়।
২. গ্রহণের পর বিশুদ্ধ জলে স্নান করে গরিবকে দান করতে হবে।
৩. এরপর পুরো ঘর শুদ্ধ করতে হবে। এতে করে ঘরের সমস্ত নেতিবাচক শক্তি চলে যায়।
৪. গ্রহণকালে গরুকে ঘাস, পাখিকে খাবার, দুঃস্থকে বস্ত্র দান করলে বহুগুণ পুণ্য হয়।
আরও পড়ুন – ফুসফুসে জমে থাকা যাবতীয় টক্সিন দূর হবে এই ৫ খাবারেই, কমবে হাঁপানি…
চন্দ্রগ্রহণের সময় কী কী করবেন না
১. এই সময় রাগ করবেন না একেবারেই। রাগ করলে আপনার জন্য পরবর্তী ১৫ দিনের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
২. এই সময় খাবার গ্রহণ করবেন না। এর সঙ্গে পুজোপাঠ করাও নিষিদ্ধ।
৩. গ্রহণের সময়, নির্জন স্থানে বা শ্মশানের কাছে যাওয়া উচিত নয়। এই সময়ে নেতিবাচক শক্তি অনেক বেশি প্রাধান্য পায়।
৪. এই সময় কোনও ব্যক্তির কোনও নতুন কাজ শুরু করা উচিত নয়। বিশ্বাস করা হয় যে গ্রহণের সময় নেতিবাচক শক্তি বেশি থাকে।
৫. গ্রহণকালে স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক করা উচিত নয়। এতে করে আপনার বাড়ির সুখ-শান্তি নষ্ট হতে পারে।