ফ্রান্সে গবেষনার সুযোগ পেলেন মালদহের স্বর্ণায়ু বণিক । শিক্ষা জগতে জেলা তথা রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করলেন মালদহ শহরের স্বর্ণায়ু বণিক। ফ্রান্সের বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি অফ রেনেসে-তে গবেষণার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।জানা গিয়েছে,ভারত সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ভারতের মোট ২৫ জন তরুণ গবেষককে এর জন্য নির্বাচিত করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র প্রতিনিধি স্বর্ণায়ু রয়েছেন।
দেশের কৃষি ক্ষেত্রের পাশাপাশি চিকিত্সা ক্ষেত্রেও তার এই গবেষণা একটি নতুন দিশার সন্ধান দেখাবে বলে আশা তার।হায়দরাবাদের সিআইএসআর-আইআইসিটির কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ-এর অন্তর্গত ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ কেমিক্যাল টেকনোলজির গবেষক স্বর্ণায়ু তার এই সাফল্যের জন্য পরিবার, শিক্ষক থেকে শুরু করে বন্ধুদেরও ধন্যবাদ জানান।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বর্ণায়ুর বাবা সন্দীপ বণিক বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কে বর্তমানে বালুরঘাটে কর্মরত । মা সুদীপ্তা বণিক গৃহবধূ হলেও এই জেলার সংস্কৃতি জগতে পরিচিত নাম।স্বর্ণায়ুর মালদহ জেলা স্কুল থেকে ২০১১ সালে মাধ্যমিক ও ২০১৩ সালে ৮৪ শতাংশ মার্কস পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন।
সেখানে অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে মাস্টার্স করার পর পিএইচডি করতে হায়দরাবাদের সিআইএসআর-আইআইসিটিতে চলে যান। সেখানে অর্গানিক কেমিস্ট্রির উপরেই কাজ করে।তার গাইড ড:বিভি সুব্বারেড্ডি।তিনি সিআইএসআর-আইআইসিটির একজন মুখ্য বিজ্ঞানী । তার কাজের বিষয় হল অ্যাসিমেট্রিক অর্গানিক সিন্থেসিস। বিভিন্ন ওষুধ এবং একাধিক অ্যাগ্রো কেমিক্যালে কায়রাল সেন্টার নামে একটি জিনিস রয়েছে।
আরও পড়ুন – “মায়েদের থেকেই সময়ের ম্যানেজমেন্ট শেখা উচিত ” দেশের পড়ুয়াদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী
অনেক কেমিক্যাল কম্পাউন্ড আছে যেসব অ্যাসিমেট্রিক। কম খরচে এবং কম সময়ে আমরা সেসবই তৈরি করার চেষ্টা করে । পরবর্তীতে এসব কম্পাউন্ড সরকার কিংবা কোনও কোম্পানি সহজেই ব্যবহার করতে পারে কৃষি ক্ষেত্রের পাশাপাশি চিকিৎসা জগতেও একটা আমূল পরিবর্তন আনতে পারে। স্বর্ণায়ু বলেন, সুযোগ পাওয়ার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব তার গাইড ড. বিভি সুব্বারেড্ডিকে স্যারের।
মূলত আমার গাইডের সহযোগিতায় আমি একটি রিসার্চ প্রজেক্ট তৈরি করি। ভারত সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে ওই প্রজেক্ট পাঠাই । তারা গোটা দেশ থেকে আমার মতো ২৫ জনকে নির্বাচিত করে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে একমাত্র আমি এই সুযোগ পেয়েছি। তারাই আমাকে ফ্রান্সে ছ’মাস গবেষণা করার সুযোগ করে দিয়েছে ।”