চিঠিতে সই ছিল না রাজ্যপালের, তাই উত্তর দেননি রাজীব সিনহা , ভোটের হিংসার অভিযোগ শুনে, দেগঙ্গায় বোমাবাজিতে কিশোরের মৃত্যুর পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু ব্যস্ততার কারণ দর্শিয়ে তিনি সাক্ষাতে যেতে পারেননি। সূত্রের খবর, বারবার ডেকে পাঠানোর পরও কমিশনারের না যাওয়া এবং চিঠির উত্তর না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল।
কমিশনার রাজ্যপালের সঙ্গে ফোনে কথা বলে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিষয়টি ‘কনফিডেন্সিয়াল’ ইস্যু বলে রাজ্যপাল মুখবদ্ধ খামে চিঠি পাঠান। তবে সূত্রের খবর, রাজভবনের সেই বন্ধ খামে যে চিঠি আসে, সেখানে রাজ্যপালের কোনও সাক্ষর ছিল না। আর সেই কারণেই রাজ্যপালের চিঠির উত্তর দেননি কমিশনার। সূত্রের খবর ওই খামে ভাঙড়-সহ একাধিক জায়গার অশান্তির কথা উল্লেখ ছিল। রাজ্যপাল নিজে যে যায়গায় গিয়েছেন, সেখানকার পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ ছিল। কিন্তু তার কোনও উত্তর দেওয়া না হওয়ায় রাজ্যপাল ক্ষুব্ধ হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে বসেন রাজ্যপাল। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যে যে হিংসার ঘটনা ঘটছে, তার দায় কমিশনারেরই। কমিশনারের উদ্দেশে বলেন, “ভোটযুদ্ধে ‘অর্জুনে’র মতো ভূমিকা নিন, ‘অশ্বত্থামা’র মতো নয়।” তবে এদিনের তীব্র ভর্ৎসনার আপাতত কোনও জবাব নয় কমিশনারের। কমিশনের বক্তব্য, ভোটের মধ্যে কোনও জবাব নয়। সরাসরি রাজ্যপালকে কোনও জবাব দেওয়া থেকে বিরত কমিশনার রাজীব সিনহা।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা শুভেন্দুর অভিযোগের নিষ্পত্তি হাইকোর্টে, সতর্ক করা হল কমিশনকে
প্রসঙ্গত, রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে নির্বাচন পর্বে অশান্তি, হিংসার অভিযোগ ওঠে। বিশেষত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, ক্যানিংয়ের অশান্তির খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন রাজ্যপাল। ক্যানিং, বাসন্তী পরিদর্শন করেন তিনি। নিগৃহীতদের সঙ্গে কথা বলেন। এরই মধ্যেই বাসন্তীকে এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। তাঁর মেয়ের সঙ্গেও দেখা করেন রাজ্যপাল। তারপর সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। কিন্তু নির্বাচনে কাজে ব্যস্ততার কারণ দর্শিয়ে রাজভবনে দেখা করতে যাননি কমিশনার।