নিজস্ব সংবাদদাতা,বীরভূম :- বাইরে থেকে দরজা বন্ধ। অথচ বাড়ির ভিতরে বৃদ্ধ দম্পতির রক্তাক্ত মৃতদেহ। শুক্রবার সাতসকালে এমন ঘটনা চোখে পড়তেই আলোড়ন পড়ে যায় বীরভূমের কীর্ণাহার এলাকায়। ঘটনা জানাজানি হতেই লাভপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। সূত্রের খবর বীরভূমের লাভপুর থানার অন্তর্গত কীর্ণাহারের ব্রাহ্মণপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করতেন অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী পূর্ণেন্দু চ্যাটার্জী (৭৮) এবং তার স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা স্বপ্না চ্যাটার্জী (৬৮)। তারা যে বাড়িতে বসবাস করতেন সেখানে আর কেউ থাকতেন না বলে জানা গিয়েছে। বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা বাইরে থাকেন। বাড়ির সমস্ত কাজকর্ম সামলাতেন পরিচারক ও পরিচারিকারা।শুক্রবার সকালে ওই বাড়ির কর্মরত পরিচারক পরিচারিকারা এসে দেখতে পান বাড়ির মূল দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পর কেউ সাড়া না দেওয়ায় তারা অন্য পথে ভিতরে ঢুকে দেখতে পান বিছানার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দম্পতির মৃতদেহ।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয় ডাকাতির উদ্দেশ্যে এই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে । কারণ বাড়ির অন্যান্য যে ঘরগুলি রয়েছে তার প্রতিটি দরজা খোলা অবস্থায় ছিল। যদিও পরে অবশ্য জানা যায় বাড়ি থেকে সেরকম কোন জিনিস খোয়া যাওয়া বা চুরি হওয়ার মতো ঘটনা নজরে আসেনি। আর এরপর এই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে।ওই দম্পতির মৃতদেহ যে জায়গায় উদ্ধার হয়েছে ঠিক তার পাশে রয়েছে হাতুড়ি এবং ভারী আরও একটি বস্তু। মনে করা হচ্ছে এই দুটির মাধ্যমেই এই দম্পতিকে থেঁতলে মেরে ফেলা হয়েছে। এর পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খুন করা হয়েছে ওই দম্পতিকে।