নদী প্রকৃতি বদলে শীতে প্রচুর পরিমাণ পলি ঢুকে পড়ছে জলপ্রকল্পে. নদী প্রকৃতি বদলে শীতে প্রচুর পরিমাণ পলি ঢুকে পড়ছে জলপ্রকল্পে। বিক্ষিপ্ত হবে শিলিগুড়ি পুরনিগম এলাকায় একাধিক ওয়ার্ডে পানীয় জলের সমস্যা। দেড় মাসের মাথায় ফের ইনটেক সাফাইয়ের কাজে নামছে পুরো নিগম। বিকল্প ইনটেক চালু হলেই মিলবে সমাধান।
চলতি সপ্তাহে পরপর দু-তিন দিন ধরেই শিলিগুড়ি পুরনিগমের ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের পানীয় জলের সরবরাহে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। নদী থেকে প্রচুর পরিমাণে পলি এসে জল প্রকল্পের মুখের ভাল্বে জমাট বাঁধছে। যার জেরে জল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের সমস্ত জায়গাতে সঠিকভাবে পৌঁছচ্ছে না পুরোনিগমের পানীয় জল। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুরোনো নিয়মে একাধিক ওয়ার্ডের পানীয় জলে সরবরাহ না মেলায় সমস্যায় পড়তে হয় নাগরিকদের। দু একদিন আগেও একই ভাবে শিলিগুড়ি শহরের একাধিক ওয়ার্ডে বিক্ষিপ্তভাবে জল সরবরাহ ব্যাহত হয়। এরপরই শিলিগুড়ি পুরনিগমের তরফে জানানো হয় নদী থেকে প্রচুর পরিমাণে পলি বয়ে এসে জল প্রকল্পের ইনটেকের মুখের বাল্বে জমাট বেধে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন – ২০২২ শেষে ফিরে দেখা নিয়োগ দুর্নীতি
বাল্বের মুখে প্রচুর পরিমাণে পলি, নুরি, পাথর সহযোগে জমাট বেঁধে যাওয়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে জল প্রকল্পের পন্ডে প্রবেশ করছে না। ব্যাহত হচ্ছে জল সরবরাহ। এদিন শিলিগুড়ি পুরো নিগমের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত বলেন- কিছু ওয়ার্ডে কিছু কিছু অংশে পানীয় জল সকালবেলায় পৌছয়নি। মূলত ইনটেক এর মুখে বলবে প্রচুর পরিমাণ পরি আটকে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমরা নিয়মিত খবর মেলার পরেই বলি সাফাইয়ের কাজে কর্মীদের নাময়েছি। তবে অনেক সময় তে গভীর রাতে নদী থেকে প্রচুর পরিমাণ পলি সহযোগী নুরি পাথরে চাই এসে বাল্বের মুখে জমাট বেঁধে যাওয়ায় সকালে জল সরবরাহ আংশিক ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে পুরো নিগমের কারিগরি বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার জানান মূলত বছরে এ ধরনের সমস্যা বর্ষাকালে আগে দেখা যেত। তবে এবারে কোনো কারণবশত বা নদীর প্রকৃতির বদল ঘটায় শীতকালীন সময়তেও প্রচুর পরিমাণে পলি এসে ইনটেকেট বাল্বের মুখে বন্ধ করে দিচ্ছে। যার ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল ইনটেক এর পন্ডে প্রবেশ করছে না। স্বাভাবিকভাবেই সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
বিগত দেড় মাস আগেই জলপ্রকল্পের ইনটেকের সম্পূর্ণ অংশে কর্মী নামিয়ে পলি সাফাইয়ের কাজ করা হয়েছে। তবে এবারে নদী থেকে পলি পরিমাণ বেশি চলে আসায় ইনটেকের মুখ বন্ধ হয়ে আস্তরন জমে যাচ্ছে। আগে যেখানে বছরে একবার পলি সাফাইয়ের কাজ করা হতো এবারে দেড় মাস আগে সাফাই করার পর পুনরায় পুরো নিগমের তরফে অতিরিক্ত কর্মী নামে জল সরবরাহ অব্যাহত রেখেই পলি সরানোর কাজ করা হচ্ছে।
পাশাপাশি এই সমস্যা দীর্ঘ বাম আমল থেকে। মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত বলেন বামেদের পরিকল্পনার ভুলের ক্ষেত্রেই ভুগছে শহরবাসী। তবে দ্রুত নতুন লক গেটের এক কিলোমিটার আগে থেকেই জল শোধনের জন্য ইনটেক তৈরি করা হচ্ছে। নতুন ইনটেকটি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। নতুন ইনটেক তৈরি হলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান মিলবে। অন্যদিকে কারিগরি বিভাগের বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে জল অন্যত্র যাচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করেন।
তিনি বলেন জল ১.০৬৭ মিটার থাকার কথা। অথচ তা কমে যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর এবং সেচ দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। অনুমান তিস্তা ব্যারেজে একটি হাইড্রোলিক প্রকল্পের কাজ চলছে সেখানে প্রচুর জল যাচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলা হবে।