সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন বাড়ছে,ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর।৮ বছর পর বাড়তে চলেছে বেতন।বাংলাদেশের সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য সুখবর।চলতি বছরের শেষে বা আগামি বছরের শুরুতেই বাংলাদেশে নির্বাচন।সামনেই ইদ।তার আগেই খুশির খবর শোনালো বাংলাদেশর সরকার।বেতন বাড়ছে বাংলাদেশের সরকারি আধিকারিক এবং কর্মচারীদের।তাঁদের বেতন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আট বছর পর সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন আবার বাড়তে চলেছে।
প্রসঙ্গত,বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীরা বর্তমানে ২০১৫ সালের বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন।বেতন কমিশন গঠনের মাধ্যমে ওই বছর নতুন বেতন কাঠামোর ঘোষণা করেছিল আগের মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা এই সরকার।ওই বেতন কাঠামোতে প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে বেতন বাড়ানোর কথাও বলা হয়।সেই সময় মূল্যস্ফীতি ওই হারে ছিল বলেও ৫ শতাংশ হার নির্ধারণ করা হয়েছিল।সংসদে এই ঘোষণা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনীতির উন্নয়নে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
রবিবার, জাতীয় সংসদে বাজেট বিষয়ক আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জানান,সরকারি কর্মীদের মূল বেতনের সঙ্গে পাঁচ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হবে।তিনি বলেন, “সরকারি কর্মচারী যারা আছেন,তাদের বিশেষ বেতন হিসেবে মূল বেতনের পাঁচ শতাংশ এই আপৎকালীন সময়ে প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি।আশা করি অর্থমন্ত্রী এই বিষয়টি গ্রহণ করবেন।আমরা পাঁচ শতাংশ মূল বেতন বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে তাদের দেব।”প্রধানমন্ত্রীর এই কথা শোনার পরেই খুশির আমেজ সেখানের সরকারি কর্মীদের মধ্যে।
এদিকে,বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল সংসদে বলেন,“জাতীয় বেতন স্কেলে স্বতন্ত্র গ্রেড প্রবর্তন বা ২০ গ্রেডের পরিবর্তে ১০টি বা ভিন্নতর গ্রেডের প্রচলন করা হবে কিনা তা খতিয়ে দেখার সুযোগ রয়েছে।”রবিবার সংসদে,শাসক আওয়ামী লীগ দলের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন – ‘নতুন প্রেসিডেন্ট পাবে রাশিয়া’, ক্ষমতাচ্যুত হবেন পুতিন?
অর্থমন্ত্রী বলেন,“১৯৭৭ সাল থেকে জাতীয় বেতন স্কেলে মোট ২০টি গ্রেড চালু করা হয়েছে।পরবর্তী জাতীয় বেতন স্কেল নির্ধারণের সময় ২০ গ্রেড থেকে কমিয়ে ১০টি গ্রেড প্রবর্তন করা হবে কিনা তা পরীক্ষা করার সুযোগ রয়েছে।”উল্লেখ্য,নেপাল, ভারত ও শ্রীলঙ্কা সহ প্রতিবেশী দেশের বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসন কালে জাতীয় বেতন স্কেলে মোট ১০টি গ্রেডের প্রস্তাব করা হয়েছিল।