মণিপুরে বন দফতরের অফিসে আগুন, নতুন করে অশান্তি ছড়াচ্ছে, জারি নাইট কারফিউ

মণিপুরে বন দফতরের অফিসে আগুন, নতুন করে অশান্তি ছড়াচ্ছে, জারি নাইট কারফিউ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মণিপুরে বন দফতরের অফিসে আগুন, নতুন করে অশান্তি ছড়াচ্ছে, জারি নাইট কারফিউ। মণিপুরের পরিস্থিতি শুক্রবারের পর শনিবারও উত্তপ্ত। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে শনিবার বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারাও। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে চূড়াচাঁদপুর জেলায় বন দফতরের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। দমকল আগুন নিভিয়ে ফেললেও অফিসের বহু নথি পুড়ে গিয়েছে। ছাই হয়ে গিয়েছে বহু সরকারি সম্পত্তিও। পুলিশের সঙ্গেও দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

 

 

 

 

 

আন্দোলনের পুরোভাগে রয়েছে মণিপুরের আইটিএলএফ নামে একটি সংগঠন। সেই সংগঠনের সম্পাদক মন টোমবিং বলেন, ‘‘সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা জারি থাকবে। বীরেন সিংহ সরকারের সঙ্গে আপোসের কোনও প্রশ্নই নেই। যদি সমীক্ষা করতেই হয় তাহলে তা করতে হবে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে। জোর করে কিছুই করা যাবে না।’’

 

 

 

 

যদিও মনের কথা মানতে রাজি নয় প্রশাসন। ডেপুটি কনজ়ারভেটর অফ ফরেস্ট জৌকুমার লংজাম জানিয়েছেন, সমীক্ষাটি করা হচ্ছে বন দফতর এবং রাজস্ব দফতরের মধ্যে তৈরি হওয়া সংশয় দূর করতে। তাঁর দাবি, এর সঙ্গে উচ্ছেদের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে প্রক্রিয়া প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু ভুলচুক হয়ে থাকতে পারে বলেও মেনে নিয়েছেন বন দফতরের কর্তা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সরকারি দফতরের কাজে কিছু ভুল হচ্ছে বলে মনে করলে আলোচনার রাস্তা সর্বদা খোলা। এ জন্য যে কেউ আইনের দ্বারস্থ হতে পারেন। কিন্তু হিংসায় কোনও সুফল মিলবে না।’’

 

 

 

 

অন্য দিকে, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপিকে বিঁধেছে কংগ্রেস। সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের টুইট, ‘‘বিজেপিশাসিত মণিপুরের অবস্থা সত্যিই উদ্বেগজনক। ডাবল ইঞ্জিন সরকারের আমলে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা বলে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। বিজেপি জনজাতিদের অধিকারের উপর বুলডোজ়ার চালাচ্ছে।’’

 

আরও পড়ুন – কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে এমআরআই করাতে এসে এক কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু

 

 

মণিপুরের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ মূলত দু’টি। প্রথমত, রাজ্যের বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং জলাভূমির উপর বনবাসী জনজাতিদের চিরাচরিত অধিকার কেড়ে নেওয়া। দ্বিতীয়ত, রাজ্যের গির্জাগুলির উপর ‘পরিকল্পিত আক্রমণের’ ঘটনা। পাল্টা রাজ্য সরকারের দাবি, রাজনৈতিক উস্কানির কারণেই এমন অশান্তির ঘটনা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top