গ্রামীন আবাস যোজনা ও সড়ক উন্নয়নে ঝাঁপাচ্ছে রাজ্য। গ্রামীন আবাস যোজনা ও সড়ক উন্নয়নে ঝাঁপাচ্ছে রাজ্য। নাম নিয়ে কেন্দ্রের অযৌক্তিক বাঁধ সাধার জেরেই রাজ্যের গ্রামীণ মানুষের আবাস যোজনার বাস্তবায়নের কাজে অহেতুক বিলম্ব। শুক্রবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে বাংলায় গ্রামীণ এলাকার মানুষদের আবাস যোজনার বিলম্বের জন্য কেন্দ্রের ভূমিকাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান গ্রাম ও পঞ্চায়েত উন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ কুমার মজুমদার। মন্ত্রী বলেন কেন্দ্রের তরফে নাম নিয়ে অযৌক্তিক বিতর্ক তৈরি করা হয়।
যে প্রকল্প বাবদ রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকার উভয়ই অংশীদারিতে অর্থ বরাদ্দ করে। সেখানে কেন্দ্র সরকার নিজের নাম নিয়ে বিতর্ক বাধিয়ে দেয়। মন্ত্রী কটাক্ষের সুরে বলেন কেন্দ্রের নাম নিয়ে বড় মন খারাপ হয় যার কারণে গ্রাম বাংলার মানুষদের আবাস যোজনা আটকে দেন। যে প্রকল্পের অর্ধেক অর্থ বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার দেয় এবং বাকি অর্ধেক অর্থ কেন্দ্র সরকার দেয় সেখানে নাম নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে প্রকল্পটি বন্ধ রেখেছিলেন তারা।
আরও পড়ুন – শশী, জয়প্রকাশ, সায়ন্তিকা-র নিশানায় শুভেন্দু
এই আবাস যোজনার তালিকা চার বছর আগের তৈরী করা তালিকা।কেন্দ্রের বিজেপির নাম না করে তিনি বলেন অথচ কেউ চাইছে না গ্রামের মানুষদের দ্রুত আবাস পৌঁছাক। চার বছরে আর্থসামাজিক পরিস্থিতি বদল হয়েছে বহু পরিবারের। ফলে রাজ্যের সরকার এবং প্রশাসন যে সমস্ত মানুষেরা যোগ্য নয় আবাস যোজনা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে অন্যদিকে অন্যান্য রাজ্যের তুলনা টেনে এনারজিএস প্রকল্পের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের দুমুখো ভূমিকাকে প্রকাশ্যে তুলে আনেন গ্রাম ও পঞ্চায়েত উন্নয়ন মন্ত্রী। মন্ত্রীর বক্তব্য বিভিন্ন রাজ্যে প্রায় কয়েকশো কোটি টাকার কারচুপি রয়েছে। সেখানে কিন্তু কেন্দ্রের প্রকল্প এর অর্থ দিব্যি দেওয়া হচ্ছে।
অথচ এ রাজ্যে হিসেব বহির্ভূত খরচের পরিমাণ মাত্র ৪ কোটি টাকা। সেখানে প্রকল্প বাবদ কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে রেখেছে। মন্ত্রী বলেন আমরা ইতিমধ্যেই সেই টাকা পুনরুদ্ধারের কাজে নেমেছি। মন্ত্রী এদিন শিলিগুড়ি প্রধাননগরের ভবনে উত্তরের বিভিন্ন জেলার জেলা শাসক ও প্রশাসনিক অধিকর্তাদের দ্রুত গ্রামের মানুষদের প্রত্যেককে উপভোক্তা ও প্রাপকদের আবাস যোজনার ঘর ও গ্রামীণ এলাকায় সড়ক নির্মাণ যোজনার কাজ দ্রুত সম্পন্নের নির্দেশ দেন।