‘দ্য কেরল স্টোরি’ সিনেমাকে নিষিদ্ধ ঘোষণায় আপত্তি সুপ্রিম কোর্টের, ধাক্কা খেলেন সিব্বলরা ,ট্রেলার মুক্তি পেতেই বেড়েছে বিতর্ক। বারবার উঠেছে ব্যানের দাবি। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court)। কিন্তু, সেখানে স্বস্তি পেলেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিল ‘দ্য কেরল স্টোরিকে’ (The Kerala Story) নিষিদ্ধ করার কোনও প্রয়োজনই নেই। প্রসঙ্গত, ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে আগামী ৫ মে। কয়েকদিন আগেই সামনে এসেছে ছবিটির ট্রেলার। অভিযোগ, ছবির ট্রেলারে দেখানো হয়েছে কেরলের ৩২ হাজারের বেশি মহিলার ধর্মান্তর করা হয়েছে। তারপর তাঁদের সিরিয়া ও আফগানিস্তানে আইএসআইএসের জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে কেরলকে সন্ত্রাসীদের ‘সেফ হেভেন’ বলেও দেখানেও হয়েছে ছবিতে। যা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য বলে দাবি কংগ্রেসের। আর সে কারণেই ছবিটিকে ব্যানের দাবি করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে।
এরপরই কপিল সিব্বল সাফ জানান, যা করার তিনি করবেনই। বিচারপতি নাগারত্না জানান, আবেদনকারীদের এর জন্য আগে হাইকোর্টে যেতে হবে। সেখানেই করতে পারেবন আবেদন। যদিও আইনজীবী নিজ়াম পাশার দাবি, আর মাত্র তিনদিন পর ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে। তাই আবেদনের ঝক্কি পোহানোর মতো সময় হয়তো তাঁদের হাতে নেই। যদিও সুপ্রিম কোর্টের দাবি, এটা কোনও যুক্তিই নয়। এরকম চলতে থাকলে তো সবাই এবার সুপ্রিম কোর্টে আসতে শুরু করবে। প্রসঙ্গত, ছবিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তাঁর সাফ দাবি, কেরলের ধর্মনিরপেক্ষ পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এই ‘প্রোপাগান্ডা’ ছবি তৈরি করা হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor)। টুইটারে তিনি লিখেছেন, “এটা আপনাদের কেরল স্টোরি, আমাদের কেরলের স্টোরি নয়।”
আরও পড়ুন – ১৩৯ বছর পর বুদ্ধ পূর্ণিমায় বছরের প্রথম ছায়া চন্দ্রগ্রহণ! সৌভাগ্যকে টেক্কা দিতে…
ঘৃণা ছড়ানো এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছবির তকমা দিয়ে মুক্তি আটকানোর চেষ্টা চলে বলে অভিযোগ। সেই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল মামালা। এদিন যার শুনানি চলে বিচারপতি কেএম জোসেফ ও বিভি নাগারত্নার বেঞ্চে। ছবিটি নিষিদ্ধের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন বরিষ্ঠ আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল, আইনজীবী নিজ়াম পাশা। নিজ়াম পাশার সাফ দাবি, “সিনেমাতে প্রচুর উষ্কানিমূলক সংলাপ রয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রোপাগান্ডা”। যদিও বিচারপতি কেএম জোসেফ ও বিভি নাগারত্নার বেঞ্চ জানায়, “এই ফিল্মটি সার্টিফিকেশন পেয়েছে এবং বোর্ড দ্বারা ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এমন নয় যে একজন ব্যক্তি মঞ্চে উঠে কোনো লাগাম ছাড়াই যা খুশি বলতে শুরু করেলন। আপনি যদি সিনেমাটির রিলিজ আটকাতে চান তবে আপনার সার্টিফিকেশনকে উপযুক্ত ফোরামের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করা উচিত।”