‘এবার অল কালীঘাট তৃণমূল কংগ্রেস হয়ে যাবে’, জোড়া ফুলকে খোঁচা নওসাদের,সদ্য সর্ব ভারতীয় তকমা হারিয়েছে তৃণমূল। জাতীয় দল ইস্যুতে খোঁচা দিতে বাদ দিচ্ছেন না বিরোধীরা। বিজেপি সুর চড়িয়েছে আগেই। এবার কটাক্ষ আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকির। চণ্ডীতলার পাঁচঘড়ায় আইএসএফের কর্মিসভা করেন নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস যতই চিৎকার করুক, সর্বভারতীয় তকমা ফিরে পাবে না আর।” তাঁর সংযোজন, “আগামীদিনে অল কালীঘাট তৃণমূল কংগ্রেস হয়ে যাবে।” সদ্য সর্ব ভারতীয় তকমা যাওয়ায় কৌলিণ্যতা হারিয়েছে তৃণমূল। এমনটাই মন করছে ওয়াকিবহাল মহল। জাতীয় দলের তালিকা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে বাদ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে এরকম একটি পদক্ষেপ রাজ্যের শাসকদলকে যে বেকায়দায় ফেলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনিতেই দুর্নীতি ইস্যুতে বিদ্ধ শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল। এবার তাতে সংযোজিত হয়েছে এই ইস্যুটিও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অনেকেই ‘এআইটিসি’ (অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস) এখন ‘এবিটিসি’ (অল বেঙ্গল তৃণমূল কংগ্রেস) হয়ে গিয়েছে বলে আক্রমণ শানিয়েছেন।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নওসাদ বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল এবং বিজেপি ছাড়া যে কোনও দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে পারে আইএসএফ। তবে শাসক বিরোধী হওয়াকে তীব্রতর করতে হবে।” আগামী লোকসভা নির্বাচনে আইএসএফ সাংসদ পাঠানোর স্বপ্ন দেখছেন নওসাদ।
এক যোগে তৃণমূল-বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন নওসাদ। তিনি বলেন, “মমতা-শুভেন্দুর খেলা বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ার চ্যালেঞ্জ করেছেন মমতা। শুভেন্দু অধিকারী মিথ্যে বললে মানহানির মামলা কেন করছেন না মমতা?” প্রশ্ন তুলেছেন নওসাদ। শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, “তৃণমূল জন্মলগ্ন থেকে যা আছে, তাই হবে। আইএসএফ বিধায়ক কী বললেন, তা কিছু যায় আসে না। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তৃণমূলকে ভরসা করা শুরু করেছিলেন, এখনও তাই আছে।”
আরও পড়ুন – অমৃতপালের স্ত্রী কিরণদীপকে বিমানবন্দরে থেকে আটক ,পালিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন সে?
আক্রমণাত্মক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর গলায় বলেছেন, “তৃণমূল সর্বভারতীয় দলই থাকবে, নাম বদল হবে না দলের।” তার ভিত্তিতেই নওসাদ বলেন, “আগামীদিনে অল কালীঘাট তৃণমূল কংগ্রেস হয়ে যাবে।” বস্তুতপক্ষে তৃণমূলের পরিবারতন্দ্রকে নিয়ে বিরোধীরা এর আগেও একাধিকবার কটাক্ষ করেছেন। তবে কালীঘাটেই যে রাজ্যের শাসক শিবিরের বহর সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে, তা আগে হয়তো কোনও রাজনীতিবিদের মুখে শোনা যায়নি। এ হেন মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।