যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক, তৃণমূলই জিতবে’, হুঙ্কার শওকতের , হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, দীর্ঘ দড়ি টানাটানির শেষে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) ময়দানে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। যদিও কোর্টের হস্তক্ষেপে তা একধাক্কায় বেড়ে হয়েছে ৮২২। যা নিয়েই জোর চর্চা বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে। যদিও ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড়ে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা বলছেন, যত খুশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক। জিতবে তৃণমূলই (Trinamool Congress)। এদিন ভাঙড়ের সোনপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম নির্বাচনী প্রচার সভা ছিল। সেখানেই শওকত মোল্লার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সব্যসাচী দত্ত, আরাবুল ইসলাম, হাকিমুল ইসলাম-সহ তৃণমূলের অনেক নেতাই।
শওকতের সাফ দাবি, “সেন্ট্রাল ফোর্সের জুজু দেখাবেন না। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসেনি? ২০১৬ সালের ভোটে এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসেনি? একুশের বিধানসভা ভোটে এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসেনি? একুশের সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিটা বুথে বুথে চারজন করে সেন্ট্রাল ফোর্স ছিল। তারপরেও ২১৩টা আসনে তৃণমূল জিতেছিল। এবারের পঞ্চায়েত ভোটেও দেখা যাবে সেই একই ছবি।” অন্যদিকে ইতিমধ্যেই আবার আরও বেশি সেন্ট্রাল ফোর্সের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর সাফ দাবি, “২০১৩ সালের মতো সব বুথে আধাসেনা দিতে হবে। কুউক রেসপন্স টিম, আধাসেনা এগুলো সবই তৎকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে লড়াই করে এনেছিলেন। সেটা বর্তমান নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকেও করতে হবে।”
আরও পড়ুন – ভাঙড়ে এবার টিকিট পেলেন না দাপুটে নেতা কাইজার আহমেদ ,
এই সভা থেকেই সুর চড়িয়ে শওকত বলেন, “আমরা বলছি ২-১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়। হাজার হাজার কোম্পানি এখানে আসুক। যেভাবে ২০২১ সালে সেন্ট্রাল ফোর্স এখানে এসেছিল সেইভাবেই এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী এখানে আসুক। প্রতিটা বাড়িতে বাড়িতে চারজন করে সেন্ট্রাল ফোর্স প্রয়োগ করুন। তারপরেও আমরা বলতে পারি তৃণমূল কংগ্রেস এখানে জিতবে। কারণ বাংলার প্রতিটা মানুষের মুখে এখন যে মানুষটা হাসি ফোটাচ্ছেন তিনি হচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”