কেন্দ্রের হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্সের কয়েক হাজার পদ ফাঁকা , তিন হাজার ডাক্তার (Doctors) নেই। শূন্য ২০ হাজার নার্সের পদ।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন হাসপাতালের এই দুর্দশার চিত্র উঠে এসেছে স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবিয়ার কথায়। সংসদে তাঁর পেশ করা হিসাব অনুযায়ী অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের দিল্লি, চণ্ডীগড়ের ইউনিট যেখানে সারা দেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য যান, ভিভিআইপিদের ভরসা যে হাসপাতাল, সেখানেও ডাক্তার, নার্সের শত শত পদ ফাঁকা।
কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী শূন্য পদ পূরণের কোনও স্পষ্ট আশ্বাস দেননি।। তাঁর কথায়, প্রয়োজন মতো নিয়োগ করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে অখুশি চিকিৎসক সমাজ এবং সাংসদদের অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য, রোগীর চাপ এবং ভাল চিকিৎসার কথা বিবেচনায় রেখে এই পদ গুলি তৈরি করা হয়েছিল। অথচ বছরের পর বছর দেশের সেরা হাসপাতালের এই ‘নেই রাজ্য ‘ দশা। এর ফলে সাধারণ মানুষকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ছুটতে হচ্ছে।
এছাড়া, পুদুচেরির জওহরলাল ইনস্টিটিউট অফ স্নাতকোত্তর মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে ৭০ শূন্যপদ, চণ্ডীগড়ের পোস্টগ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে ১৪৬, এবং শিলংয়ের উত্তর পূর্ব ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সে ১১৯টি ডাক্তারের পদ ফাঁকা।
এমনকী, দু বছর আগে চালু হওয়া বাংলায় কল্যাণীর এইমসেও ৭৮ জন চিকিৎসক নেই। বিগত এক দশকে তৈরি এইমস পাটনায় ১২৮টি, ভোপালে ১০৭, যোধপুরে ৮১, ঋষিকেশে ১০৫ এবং রাজকোটে ১১৭টি পদ ফাঁকা।
আরও পড়ুন- ভালবাসার মরশুম শেষ হলেই কি বিদায় শীতেরও?
অবশ্য, শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানই নয়, সারা দেশেই চিকিৎসকের ঘোরতর অভাব চলছে। সংসদে কেন্দ্রের পেশ করা হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতি এক লাখ জনসংখ্যা পিছু অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক আছেন মাত্র ৭০ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী থাকার কথা ১০০ জন।
গোটা দেশে অভাবের প্রভাব পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও। দিল্লির এইমস, সফদরজং, রাম মনোহর লোহিয়া এবং লেডি হারডিঞ্জ হাসপাতালে যথাক্রমে ২২১, ২২০, ১১৩ এবং ৮১ জন চিকিৎসকের পদ ফাঁকা।
(সব খবর, থিক খবর. প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন facebook পেজ এবং youtube )