পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য বাংলাকে বাহিনী দিতে রাজি হয়েছে তিন রাজ্য।ঠিক কী জানা যাচ্ছে?পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের সমস্ত জেলায় মোতায়েন রাখতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী,এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য এবং কমিশন।উল্লেখযোগ্যভাবে, এর আগেই সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী চেয়ে বিহার,তামিলনাডু, ঝাড়খণ্ড সহ পাঁচ রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য,জানা গিয়েছিল এমনটাই।
বাহিনী নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ততে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।শনিবার ই ফাইলিংয়ের মধ্যে জানানো হয়েছে আবেদন, সূত্রের খবর এমনটাই।
বিরোধীরা অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে অনড় রয়েছেন।তাঁদের কথায়,মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই রাজ্যে অশান্তির ঘটনা দেখা গিয়েছে।অধিকাংশ জায়গায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা দেখা গিয়েছে।এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করানো হোক ভোট,এই দাবিতে অনড় তারা।
জানা গিয়েছে, এই আবেদনের প্রেক্ষিতে সাড়া দিয়েছে তিন রাজ্য। এর মধ্যে রয়েছে ওডিশা,ঝাড়খণ্ড এবং তামিলনাডু।পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যকে বাহিনী দিতে প্রস্তুত হয়েছে রাজ্যগুলি।যদিও কত সংখ্যক বাহিনী আসবে এই তিন রাজ্য থেকে তা এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত নয়।
রাজ্যের তরফে মূলত ঝাড়খণ্ড ও ওডিশার থেকে বেশি সংখ্যক বাহিনী চাওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।বাহিনী কত সংখ্যক পাওয়া যাবে তা নিয়ে এই তিন রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চলছে তৎপরতার সঙ্গে।ঝাড়খণ্ড এবং ওডিশা থেকে বেশি সংখ্যক বাহিনী এলে তাদের আসতে সুবিধা হবে এবং এক্ষেত্রে রাজ্যের খরচও কিছুটা কমবে।
জানা গিয়েছে,এই তিন রাজ্য কত সংখ্যক বাহিনী দিতে পারবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি করেছিল বিরোধীরা।
এই মর্মে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস এবং BJP।গত মঙ্গলবার টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, পঞ্চায়েত ভোটে বাংলার সাত স্পর্শকাতর জেলাতে আধাসেনা মোতায়েন করতে হবে।
আরও পড়ুন – রথযাত্রার আগেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অঘটন! অশনী সংকেত? ফাটল দেবী সুভদ্রার রথের…
যদিও এই নির্দেশ পুর্নবিবেচনার আর্জি জানিয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কমিশন।এরই প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট সমস্ত জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিল।এমনকী,৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের থেকে চেয়ে পাঠাতে হবে বাহিনী,দেওয়া হয় এই নির্দেশও।