ঠিক কী কারণে ডুবে গিয়েছিল টাইটান?বিপদের আগেই বড় বিপত্তি ঘটেছিল?ঠিক কী জানা যাচ্ছে?এই প্রথমবার নয়,এর আগেও’ভয়াবহ বিপদ’-এর মুখে পড়েছিল খুদে সাবমেরিন টাইটান।বাজ পড়ে প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল এর ৭০ শতাংশ যন্ত্রাংশ?প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য।জানা গিয়েছে,অতীতে একবার বাজ পড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই সাবমেরিনটি।এর ফলে টাইটানের ৭০ শতাংশ আভ্যন্তরীন সিস্টেমের উপর প্রভাব পড়ে। স্টকটন বলেন,”আমরা সৌভাগ্যবশত,আমরা বাণিজ্যিক অফ-দ্য-শেল্ফ এবং লাইন রিপ্লেসেবল জিনিসপত্র ব্যবহার করতাম। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই এই সমস্ত জিনিসপত্র বদলে ফেলতে পেরেছিলাম।”
সেই সময় বিদ্যুৎ চমকানো সহ প্রকৃতির মতি-গতি দেখে টাইটানের টেস্ট ড্রাইভ বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল।স্টকটনের মৃত্যুর পর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞ এবং তাঁর একাধিক কথপোকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।এই ভাইরাল মেসেজে দাবি করা হয়েছে,ওই সাবমেরিন যে সুরক্ষিত নয়,তা একাধিকবার বলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।কিন্তু,স্টকটন সেই যাবতীয় তথ্য অগ্রাহ্য করে এসেছেন।
এখানেই শেষ নয়,টাইটানের ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম ডিজাইনের জন্য কলেজ ইন্টার্নদের ব্যবহার করেছিলেন স্টকটন,এই তথ্যও উঠে আসছে।পাশাপাশি টাইটানে যাঁরা সওয়ার হতেন তাঁদের অভিযাত্রী বলা হত না।তাঁদের ‘মিশন স্পেশালিস্ট’-এর তকমা দেওয়া হত।যাতে কোনও আইনি ঝামেলা হলে তা এড়ানো যায় সেই জন্যই এই পন্থা বলে দাবি করছেন অনেকে।যদিও এই দাবিগুলির প্রেক্ষিতে ওশেনগেটের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
উল্লেখ্য,টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য টাইটানে সওয়ার হয়েছিলেন ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিন,পল হেনরি , পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তাঁর ছেলে সুলেমান দাউদ এবং স্টকটন নিজেই। কিন্তু,যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই এই সাবমেরিনটির সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। এই পাঁচজনেরই মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন – বাড়তে চলেছে হজযাত্রার খরচ? ঠিক কী জানা যাচ্ছে? কী জানাচ্ছেন সৌদি প্রশাসন?…
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে ভয়াবহ পরিণতি হয়েছিল সাবমেরিন টাইটানের।পাঁচ অভিযাত্রী সহ ফেটে গিয়েছিল টাইটান।প্রত্যেকের মৃত্যু হয়।আদৌ কি পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা মেনে চলা হয়েছিল টাইটানে?ঠিক কী কারণে অকালে ঝরে গেল পাঁচটি প্রাণ?তা নিয়ে উঠছিল একাধিক প্রশ্ন।এরই মধ্যে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।ওশেনগেটের CEO স্টকটন রাশ অতীতে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন একটি টেক সংস্থাকে।কিন্তু,পরবর্তীতে তা সংশ্লিষ্ট সংস্থার তরফে ডিলিট করে দেওয়া হয়। ২০২০ সালের অগাস্ট মাসে এই সাক্ষাৎকারের ভিডিয়োটি সামনে আসে,যার কিছু কপি রয়েছে ইউ টিউবে।