POLITICAL: প্রাক্তন TMC প্রধানের স্বামী ও শিশু সন্তানের ক্ষত-বিক্ষত দেহ

POLITICAL: প্রাক্তন TMC প্রধানের স্বামী ও শিশু সন্তানের ক্ষত-বিক্ষত দেহ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
TMC
TMC
TMC

কোচবিহার সংবাদদাতাঃ  কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমার গীতালদহ ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান বীথিকা বর্মনের স্বামী প্রদীপ বর্মন ও ছেলে চন্দ্রশেখর বর্মনের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে  চাঞ্চল্য। বিথীকা বর্মণ TMC -এর প্রাক্তন প্রধান। বুধবার সকালে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস যখন কোচবিহার থেকে দিনহাটার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন ঠিক সেইসময় বিথীকা বর্মনের স্বামী তাঁর শিশুপুত্রকে নিয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে প্রত‍্যক্ষদর্শীদের দাবি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ এর পেছনে রয়েছে বিজেপির প্ররোচনা। বেশ কিছুদিন থেকেই প্রাক্তন প্রধান সহ বেশ কয়েকজনকে বিজেপিতে যোগদান করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ।

আর ও পড়ুন ;  ২১এর ভোটে হেরেও TMC-কে টেক্কা দিলো CP(I)M, কীভাবে?

শুধু তাই নয় প্রধান এবং তার অনুগামী সকলের বাড়িতে লাগাতার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করেছিল বলে অভিযোগ। এমত অবস্থায় মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে শিশুপুত্রকে নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন প্রদীপ বাবু। এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন কিছুক্ষণ আগেই তিনি খবর পেয়েছেন প্রাথমিক অবস্থায় আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে তবে ঘটনা তদন্তের পর এই সঠিক তথ্য জানা যাবে। প্রদীপ বর্মন এর ভাই সন্দীপ বর্মন সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, মানসিক অবসাদের কারণেই আজকে এই কঠিন পথ বেছে নিতে হয়েছে তার দাদাকে। দিনে রাত্রে তার দাদাকে হুমকির সম্মুখীন হতে হতো। এমনকি টেলিফোনেও হুমকি দেওয়া হতো। টাকার চাপে জর্জরিত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রচুর অর্থের দাবি ছিল তার দাদার কাছ থেকে।

তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, যারা তার দাদার সঙ্গে ছিল তারাই বিজেপি তে গিয়ে দাদার প্রতি অবিচার করেছে। মানসিক চাপ এবং টাকার চাপ সহ্য করতে না পেরেই নিজের ছেলেকে সাথে নিয়ে মৃত্যুর পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে তার দাদা। রাজনীতি তার দাদার জীবন কেড়ে নিল। ঘটনাস্থলে যান কোচবিহার জেলা TMC সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়, দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। পার্থ প্রতিম রায় মন্তব্য করে বলেন, আত্মহত্যার পিছনে যদি কারো প্ররোচনায় থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই তার ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। একই সাথে তিনি পুলিশ প্রশাসনের উপরে আস্থা রেখে বলেন, পুলিশ প্রশাসন গোটা বিষয়ে তদন্ত করুক নিরপেক্ষভাবে তখনই সত্যমিথ্যা সামনে উঠে আসবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top