বিজেপির (bjp) ধাঁচে লোকসভা ভিত্তিক সাংগঠনিক জেলা গঠন শুরু করে তৃণমূল (tmc)

বিজেপির (bjp) ধাঁচে লোকসভা ভিত্তিক সাংগঠনিক জেলা গঠন শুরু করে তৃণমূল (tmc)

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
tmc

 

 

ধাঁচে

২০১৯ লোকসভা ভোটের পরই বিজেপির (bjp) ধাঁচে লোকসভা ভিত্তিক সাংগঠনিক জেলা গঠন শুরু করে তৃণমূল(tmc) । সেই ভাবে বাঁকুড়াকেও দুটি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করেছে দল। বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরের জন্য আলাদা করে সাংগঠনিক কমিটিও করে দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যুব, মহিলা সহ শাখা সংগঠনগুলির আলাদা আলাদা কমিটি থাকলেও দলের জেলা সভাপতি ও শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি একজন করেই ছিলেন।

 

এবার তাও ভেঙে দিয়ে নতুন করে দুটি সাংগঠনিক জেলার জন্য আলাদা জেলা সভাপতি ও শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ঘোষণা করেছে দল। অখণ্ড বাঁকুড়া জেলার সভাপতি শ্যামল সাঁতরাকে দলের চেয়ারম্যান করে বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়েছে সিমলাপালের দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্রকে ও বিষ্ণুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হয়েছেন বড়জোড়ার বিধায়ক অলক মুখার্জী।

 

আর ও পড়ুন  ঢাকার আর্টিজান জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ে এবার সিনেমা (Cinema) হচ্ছে বলিউডে (Bollywood)

 

অন্যদিকে শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন অলকা সেন মজুমদার। তার জায়গায় বাঁকুড়ায় সংগঠনের দায়িত্ব পেলেন মেজিয়া শিল্পাঞ্চলের শ্রমিক নেতা রথীন ব্যানার্জি ও বিষ্ণুপুরের দায়িত্বে এলেন সোমনাথ মুখার্জী।

 

মেজিয়া বড়জোড়া শিল্পাঞ্চল থেকে রথীন, সোমনাথ, ও বিধায়ক অলক মুখার্জি সংগঠনের গুরু দায়িত্ব পাওয়ার খবর ঘোষণা হতেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অকাল দীপাবলিতে মাতলেন দলের কর্মীরা। মেজিয়ায রথীন ব্যানার্জি ও বড়জোড়ায় অলক মুখার্জিকে আবীর ও ফুল মালায় ভূষিত করে ব্যান্ড বাজিয়ে মিছিল করলেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

 

রথীন ব্যানার্জী চোখের সামনে মেজিয়ার ধু-ধু প্রান্তরে কল কারখানা গড়ে উঠতে দেখেছেন। যৌবনের শুরু থেকেই তিনি বাম আমলে শ্রমিকদের বঞ্চনা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হতেন। তার সেই কর্মোদ্যোগ দেখে দলনেত্রী তাকেই যোগ্য মনে করে বাঁকুড়ার শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বে এনেছেন। সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া সংগঠনের সভানেত্রী অলকা সেন মজুমদার বলেন, এতদিন মেজিয়া এলাকায় ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন রথীন। সংগঠন চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে ওর।

 

রথীনবাবু বলেন, আমি অলকাদির পরামর্শ মেনেই কাজ করব। এছাড়াও শিল্পাঞ্চলের সকলের সঙ্গে বৈঠক করে একটি কমিটিও গঠন করবো শীঘ্রই। এদিকে বিষ্ণুপুরের পুর বোর্ডের প্রশাসক বদল করলো দল। বিষ্ণুপুরের পুর প্রশাসক ছিলেন দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়। তার জায়গায় দলের যুব সংগঠনের সভানেত্রী অর্চিতা বিদকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিষ্ণুপুর পুর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হল। অর্চিতা বিদ বড়জোড়া পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রশাসনে ছিলেন। তারও প্রশাসন চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top