অধীরের ডেরায় তৃণমূলে ভাঙন, ৬০০ জন তৃণমূল কর্মী এদিন ঘাসফুলে ছেড়ে কংগ্রেসের হাত ধরলেন। শাসক দলে আবারও বড় ভাঙন মুর্শিদাবাদে। ডোমকল পুরসভার প্রাক্তন উপপৌরপিতা তথা তৃণমূল নেতা প্রদীপ চাকী এবার সঙ্গ ছাড়লেন শাসক দলের। ঘাসফুল থেকে বেরিয়ে এবার যোগ দিলেন কংগ্রেসে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী আজ তাঁর হাতে কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন। এর পাশাপাশি প্রদীপ চাকীর অনুগামী প্রায় ছ’শো তৃণমূল কর্মীও এদিন ঘাসফুলে ছেড়ে কংগ্রেসের হাত ধরলেন। আর এই যোগদান ঘিরে বেশ উজ্জীবিত জেলার কংগ্রেস নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত ভোটের সঙ্গে এর প্রত্যক্ষ কোনও যোগ না থাকলেও সামনের বছরেই লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। সেই জায়গায় অধীরের খাসতালুক মুর্শিদাবাদেই কংগ্রেসের হাতে এখন মাত্র একটি লোকসভা আসন। বাকি দুটি তৃণমূলের। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আগামী বছরের লোকসভার কথা মাথায় রেখে এই যোগদান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
যদিও এই যোগদান নিয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল শিবিরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব এই যোগদান ঘিরে নতুন করে অক্সিজেন পাচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখন দেখার পরবর্তীতে এই যোগদানের কতটা প্রভাব পড়ে জেলার রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন – নওশাদকে নিযে মুখ খুলনেন তাঁর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ আনা…
উল্লেখ্য, এই প্রদীপ চাকী আগে কংগ্রেস শিবিরের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। পরে তৃণমূলে গিয়েছিলেন। প্রদীপবাবুর কথায়, তিনি যখন কংগ্রেস ছেড়েছিলেন, তখনও অধীর চৌধুরীকে জানিয়েই ছেড়েছিলেন। কিন্তু কেন হঠাৎ শাসক শিবির ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রদীপ চাকী? তাঁর বক্তব্য, গত প্রায় বছর দুয়েক ধরে তিনি তৃণমূলের সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত নেই। কোনও কর্মসূচিতে তাঁকে ডাকা হয় না। সদ্য শাসক শিবির থেকে বেরিয়ে আসা নেতার কথায়, তিনি অতীতে শাসক দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। তারপর থেকেই তাঁকে কার্যত একঘরে করে রাখা হয়েছিল দলের অন্দরে। সেই সব কারণেই আবার তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের ঘরে ফিরলেন তিনি। প্রদীপবাবুর আশা, কংগ্রেসে ফিরে আবার তিনি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পাবেন।