নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন মদন মিত্র , এবার মদনের গলায় ‘ব্রাত্য-সুর’ ,সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন, তাঁর কোটার চাকরি তিনি নিজের দলের লোককেই দেবেন। শিক্ষামন্ত্রীর এ হেন মন্তব্যে পড়ে যায় শোরগোল। এবার ব্রাত্যর সুরেই সুর মেলালেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। বললেন, “আমি সুযোগ পেলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের আবার চাকরি দেব” l
আরও পড়ুন – কলকাতাবাসীকে ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’ ফিরহাদ হাকিমের ! সবুজ আর নীল বালতি গোলালেই বিপদ!
নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তাবড়-তাবড় তৃণমূল নেতাদের। বিরোধীদের গ্রুপ সি থেকে গ্রুপ ডি চাকরি বাতিলের তালিকায় যে সকল প্রার্থীরা রয়েছেন তাঁদের অধিকাংশই তৃণমূল নেতা কিংবা তাঁর ঘনিষ্ঠ। অর্থাৎ কারচুপি করে শাসকদল তাঁদেরই কর্মীদের চাকরি দিয়েছে এমন অভিযোগ বারংবার উঠেছে। এই আবহে ব্রাত্য বসুর মন্তব্য একপ্রকার আগুনে ঘি ঢেলেছিল। মন্ত্রী সিপিএম-এর কোর্টে বল ঠেলে বলেছিলেন, ” বামফ্রন্ট সরকারের আমলে নিয়ম ছিল, প্রত্যেক মন্ত্রী তাঁদের দফতর পিছু দুইজন করে অ্যাটেন্ড্যান্ট নিতে পারবেন। ২০১১ সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই আইন সংশোধন করে দফতর পিছু তিন জন করা হয়।” বুধবার সেই একই রকম কথা শোনা গেল মদনের গলাতেও। তৃণমূল নেতা বললেন, “আমাদের বহু ছেলে সিপিএমের আমলে চাকরি পায়নি। কয়েক কোটি বেকার রেখেছে সিপিএম চলে গিয়েছে। বেকার কি চিরকাল বেকার থাকবে? নিয়ম মেনেই তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়। সেটা অন্যায় নয়।” এরপর তিনি সাফ-সাফ বলেন যে, তাঁর যদি সুযোগ থাকত তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের তিনি আবার চাকরি দিতেন। ৩৪ বছর ধরে সিপিএম দিয়ে আসছে। বিজেপি একতরফা করছে।”
সিপিএম-কে আক্রমণ করে মদন প্রশ্ন করেন, “কেউ যদি বলে তৃণমূলের ছেলেরা চাকরি পেয়েছে এতে আমি কোনও অন্যায় দেখি না। সিপিএম কি চাকরি দেয়নি?” অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি দুর্নীতির দায় এড়াতেই বিরোধীদের দিকে আঙুল ঘোরানোর চেষ্টা করছে এই রাজ্যের শাসক দল?
(সব খবর , ঠিক খবর , প্রত্যেক মূহুর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )