মোদী-শুভেন্দুকে পদহারা করতে মামলা তৃণমূলের, অভিষেকের নির্দেশ কার্যকর করতে আলোচনায় বসবে তৃণমূলের আইনজীবী সেল

মোদী-শুভেন্দুকে পদহারা করতে মামলা তৃণমূলের, অভিষেকের নির্দেশ কার্যকর করতে আলোচনায় বসবে তৃণমূলের আইনজীবী সেল

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মোদী-শুভেন্দুকে পদহারা করতে মামলা তৃণমূলের, অভিষেকের নির্দেশ কার্যকর করতে আলোচনায় বসবে তৃণমূলের আইনজীবী সেল। বুধবার শহিদ মিনারের মঞ্চ থেকে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে দলের আইনজীবী সেলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সুরত আদালতের সেই রায়কে হাতিয়ার করে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পদ খারিজের বিষয়ে উদ্যোগী হতে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নার শেষ দিন। সন্ধ্যায় কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা। আর তার পরেই অভিষেকের নির্দেশ কার্যকর করতে আলোচনায় বসবে তৃণমূলের আইনজীবী সেল। তৃণমূল সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে রাহুলের সাংসদ পথ খারিজ নিয়ে সুরত আদালত যে রায় দিয়েছে তার প্রতিলিপি হাতে পেয়েছেন দলের আইনজীবী সেলের নেতারা। প্রাথমিক ভাবে তৃণমূলের আইনজীবী সেলের নেতাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়ে গেলেও, কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না কর্মসূচি শেষ হলে।

 

 

 

 

এমনকি বুধবার শহিদ মিনারের সভায় রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের নির্দেশকে হাতিয়ার করেই প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। কারণ হিসাবে অভিষেক জানিয়েছিলেন, ‘‘মোদী পদবি নিয়ে বলে যদি রাহুল গান্ধী ওবিসি সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করে থাকেন, তার জন্য যদি তাঁর দু’বছরের কারাদণ্ড এবং সাংসদ পদ খারিজ হয়, তা হলে বিধানসভা ভোটের প্রচারে এসে দেশের প্রধানমন্ত্রী যে আমাদের নেত্রীকে ‘দিদি ও দিদি’ বলে আক্রমণ করেছিলেন, সেটা কি মহিলাদের অসম্মান নয়? তা হলে সেই কারণে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাংসদ পদ কেন খারিজ হবে না?’’ আর বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদাকে পায়ের তলায় রাখার কথা বলেছিলেন। এই দুটি মন্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন অভিষেক। সেই নির্দেশ মতোই এগোতে চায় তৃণমূলের আইনজীবী সেল।

 

 

আরও পড়ুন – আর ‘চোর’ নয়, পার্থকে দেখে এ বার ‘জিন্দাবাদ’ স্লোগান! তিনি নীরবই রইলেন

 

 

দলের আইনজীবী সেলের নেতা তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রায়ের প্রতিলিপি পর্যালোচনার পাশাপাশি, এফআইআর এবং মামলা দায়ের করার মতো বিষয়গুলিও রয়েছে। যা ধাপে ধাপে আমাদেরকে করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের আইনজীবী সেলের নেতারা, সব দিক পর্যালোচনা করেই এ বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top