মঙ্গলবার রাতে তৃণমূল ভবনে গিয়ে শো-কজ় নোটিসের জবাব দিলেন হুমায়ুন কবীর

মঙ্গলবার রাতে তৃণমূল ভবনে গিয়ে শো-কজ় নোটিসের জবাব দিলেন হুমায়ুন কবীর

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মঙ্গলবার রাতে তৃণমূল ভবনে গিয়ে শো-কজ় নোটিসের জবাব দিলেন হুমায়ুন কবীর, গত শনিবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ় করে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। সাত দিনের মধ্যে শো-কজ়ের জবাব দিতেও বলা হয়। সেই সময়সীমা মেনে আগামী শুক্রবারের মধ্যে দলকে জবাব দেওয়ার কথা ছিল হুমায়ুনের। কিন্তু সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই নিজের জবাব দলের সদর দফতরে পৌঁছে দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক। সোমবার দলের রাজ্য সভাপতিকে ফোন করেছিলেন হুমায়ুন। প্রথমে সুব্রত ফোন না ধরতে পারলেও পরে রাতের দিকে হুমায়ুনকে ফোন করেছিলেন তিনি। শো-কজ় নোটিস নিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ কথা হয় তাঁদের মধ্যে। ভরতপুরের বিধায়ককে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি নির্দেশ দেন তাঁর জবাব যেন দ্রুততার সঙ্গে তৃণমূল ভবনে পৌঁছে দেওয়া হয়। রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের কাছে শো-কজ়ের জবাব জমা দিতে বলেন তাঁকে।

 

 

 

 

 

সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। নিজের অনুগামীদের তৃণমূল প্রার্থী করতে না পেরে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়ে দেন তিনি। শীর্ষ নেতৃত্বের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও অনুগামীদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করেননি তিনি। বরং প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি শাওনী সিংহ রায়ের অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন তিনি।

 

 

 

 

সূত্রের খবর, মোট ৬টি কারণের উল্লেখ করে শো-কজ়ের চিঠি পাঠানো হয়েছিল হুমায়ুনকে। সেই ৬টি অভিযোগের জবাব দিয়েছিলেন তিনি। তবে নিজের শো-কজ়ের জবাব প্রসঙ্গে কিছুই জানাতে চাননি তিনি। হুমায়ুন বলেছেন, “দল আমার থেকে যে যে বিষয়ে জানতে চেয়েছিল, তা সব কিছুই জানিয়েছি। এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করব না।”

 

 

 

 

যদিও ঘোষণা করেও সেই কর্মসূচি বাতিল করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। হুমায়ুনের বিরুদ্ধে যে তৃণমূল নেতৃত্ব ব্যবস্থা নিতে চলেছেন, তা বোঝা গিয়েছিল চলতি বিধানসভা অধিবেশনেই। গত সপ্তাহে তৃণমূল পরিষদীয় দলের উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়কে ফোন করে বিধানসভায় হুমায়ুনের অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। বিধানসভার কোন কোন কমিটিতে হুমায়ুন রয়েছেন, তা সুব্রতকে জানিয়েছিলেন তাপস।

 

 

 

 

 

আরও পড়ুন – কলকাতায় এসে উপস্থিত হলেন কেন্দ্রীয় সিবিআই অধিকর্তা প্রবীণ সুদ

 

 

 

 

তবে তৃণমূলের অভ্যন্তরে ধারণা ছিল, বিধানসভার বাদল অধিবেশন শেষ হলেই হুমায়ুনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। কিন্তু গত শনিবার আচমকাই শো-কজ় নোটিস ধরানো হয় হুমায়ুনকে। বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে কলকাতায় রয়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। তাই মঙ্গলবার অধিবেশনের কাজকর্ম শেষ হতেই পার্ক স্ট্রিটের বিধায়ক আবাসে গিয়ে নিজের উত্তর তৈরি করে রাতে তা তৃণমূল ভবনে জমা দিয়ে আসেন তিনি।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top