কলকাতার পাঁচতারা হোটেলের কর্মীদের গোষ্ঠীকোন্দল বিতর্কে মুখ খুললেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র,

কলকাতার পাঁচতারা হোটেলের কর্মীদের গোষ্ঠীকোন্দল বিতর্কে মুখ খুললেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র,

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

কলকাতার এক ঐতিহ্যবাহী হোটেলে দুই কর্মী গোষ্ঠী কোন্দল  বিতর্কে মুখ খুললেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র,কলকাতার পাঁচতারা হোটেলের কর্মীদের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিচে নাজেহাল অবস্থা হোটেল কর্তৃপক্ষের। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে গিয়েছিল যে দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব থামাতে হোটেলে ১৪৪ ধারা জারির আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল খোদ পাঁচতারা হোটেল কর্তৃপক্ষ। সেই আর্জি মেনে নিয়ে ১৪৪ ধারা জারিও করার নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। ২ মে থেকে সেই নির্দেশ বলবৎ রয়েছে। হোটেল সূত্রে খবর, এখানকার দুই কর্মী গোষ্ঠী দুই প্রভাবশালী নেতার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন মন্ত্রী এবং অন্যজন প্রাক্তন মন্ত্রী। আর এই হোটেলটি রয়েছে ফিরহাদ হাকিমের এলাকায়। তিনি ঘটনাটিকে একটি ছোটখাটো ঝামেলা বললেও, একইসঙ্গে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, পিছনে যত বড়ই প্রভাবশালী নেতা থাকুক না কেন, কোনও অসভ্যতা করলে, দল কঠোরতম ব্যবস্থা নেবে।

 

 

 

 

 

কামারহাটির বিধায়ক বলেন, ‘যদি দল মনে করে ফিরহাদ হাকিম যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাই হবে। তাহলে সেটাই হবে। দলের কর্মীদের কাছে আবেদন, সতর্ক থাকুন, সজাগ থাকুন। আমি ২৩ মাস কাস্টডিতে ছিলাম, কোনওদিন দলবিরোধী কিছু করিনি। তাই দৃষ্টান্তমূলক কিছু করতে গিয়ে কেউ যদি নিজেই দৃষ্টান্ত হয়ে যান, তাহলে দলের মধ্যেই বিচ্ছিরি পরিস্থিতি তৈরি হয়।’তাহলে ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে মদন মিত্রর কোনও দ্বন্দ্বের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে? যদিও তেমন কিছু মানতে নারাজ মদন। বললেন, ‘নাহ্ । এই তো একসঙ্গে খেলা দেখতে যাব!’

 

 

 

 

এবার ওই পাঁচতারা হোটেল বিতর্কে মুখ খুললেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রও। বিধায়কের দাবি, ওখানে ৮০০-৮৫০ জন কর্মী কাজ করেন। হোটেল কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ কর্মী তাঁকে ওই হোটেলের কর্মী সংগঠনের চেয়ারম্যান হিসেবে চেয়েছেন। বললেন, ‘আমি ওদের স্পষ্ট করে দিয়েছিলাম, যাই করা হোক, তা যেন দলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলে নেওয়া হয়। দলের শ্রমিক সংগঠনের নেতাদেরও বিষয়টি জানানোর জন্য বলেছিলাম।’ ওই হোটেলে যে অপর একটি গোষ্ঠী রয়েছে, সেই কথাও মদন মিত্রর কানে গিয়েছিল, সেই কথাও জানালেন তিনি

 

 

 

 

আরও পড়ুন –   পছন্দ না হলে বিল ফেরত পাঠান, রাজ্যপাল বোসকে স্পষ্ট বার্তা মমতার

 

 

একইসঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য নিয়েও মুখ খুললেন মদন। বললেন, ফিরহাদ হাকিম খুব ভাল কাজ করছেন। মেয়র হিসেবে তাঁর কাজ এত ভাল যে দল তাঁকে দিনের পর দিন আরও বেশি দায়িত্ব দিচ্ছে। দল তাঁর মাথায় আরও একটি করে সোনার পালক দিয়ে গৌরবান্বিত করছে। এতে আমি গর্বিত কারণ তিনি আমার খুব ঘনিষ্ঠ।’ এরপরই মেয়র ফিরহাদের মন্তব্য প্রসঙ্গে বললেন, ‘আমি ঠিক বুঝতে পারিনি ফিরহাদ হাকিম কী বলছেন। দলের যদি কেউ অসভ্যতা করে, তাঁকে নিশ্চয়ই শাস্তি দেবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক বৈঠকে গিয়ে বলছেন, সাধারণ মানুষ যাকে চাইবেন, তাঁকেই মনোনয়ন পত্র দেওয়া হবে।’

 

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top