শুভদীপের মৃত্যুর পরও মুখে ‘কুলুপ’ মদনের, নীরবে দিলেন পাশে থাকার বার্তা ,মঙ্গলবার মৃত্যু হয় শুভদীপ পালের। ইনি সেই ব্যক্তি যাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য লড়াই করেছিলেন মদন মিত্র। এমনকী ভর্তি করাতে না পেরে ক্ষোভও উগরে দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। গতকাল সেই ছেলেটার মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি তৃণমূল। মানসিক কার্যত ভেঙে পড়েন তিনি। নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে শোকবার্তাও পোস্ট করেন তিনি। তবে শুভদীপের মৃত্যু নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে সেভাবে কোনও মন্তব্য করলেন না মদন। শুধু বললেন, মানুষ বিপদে পড়লে আবার তিনি সাহায্য করবেন।
গতকালে সাংবাদিকেদর একের পর এক প্রশ্নে শুধুমাত্র ‘জানি না’-তেই জবাবে দিয়েছেন তিনি। শুভদীপের চিকিৎসায় দেরি প্রসঙ্গে জানালেন, “আমি কোনও মন্তব্য করব না। আমার জন্য মেডিক্যালে শুভদীপ ভর্তি হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ভর্তি হয়েছিলেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ। আমি দেখেছি তাঁরা কী আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।” অন্যদিকে, রেফার সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর কার্যত এড়িয়ে গিয়ে বলেনছেন, “হাসপাতাল স্থানান্তর শুভদীপের জন্য ভাল হয়েছে কি না তা চিকিৎসকরাই বলতে পারবেন।” তবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সব রকম সাহায্য করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন – সৌরভের ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ায় কটাক্ষ সৌগতের, পাল্টা জবাব সুকান্তর,
উল্লেখ্য শুভদীপ পালকে ভর্তি করাতে না পেরে ‘অগ্নিশর্মা’ হন তৃণমূল বিধায়ক। গলায় শোনা গিয়েছে বাম সরকারের প্রশংসা। শোনা গিয়েছে পিজির ‘বেহাল পরিকাঠামো’র কথাও। এমনকী পিজির ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ করেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। সঙ্গে দলনেত্রীকে নিয়েও মদন-বাণ ধেয়ে এসেছে শনিবার। প্রয়োজনে বিধায়ক পদ ছাড়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিন্তু ওই দিন রাত্রিবেলাই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ। এবং তারপর রবিবার ‘ভোলবদল’। এরপর মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এ বিষয়কে ‘চ্য়াপ্টার ক্লোজ’ বলে মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে মদন মিত্রও কুণালের কথার রেশ টেনেই বলেছেন, যেহেতু দলের মুখপাত্র চ্যাপ্টার ক্লোজ বলছেন, তাই তাঁর আর কিছু বলার নেই। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন এখানেই তবে কি সত্যিই চ্যাপটার ক্লোজ করলেন মদন? যে শুভদীপ পালের জন্য এত যুদ্ধ করছিলেন তিনি তাঁর মৃত্যুর পর কোনও প্রতিক্রিয়াই নেই রাজনৈতিক এই নেতার?নাকি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার জন্যই তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাইলেন না!