হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে মদনের ছবি প্রকাশ্যে।হৈমন্তী বিতর্কে কি বললেন মদন? যদিও এসব বিষয় কোনওদিনই খুব একটা গুরুত্ব পায়নি মদন মিত্রের কাছে। এবারও পেল না।
তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে (Madan Mitra) ‘সেলফি কিং’ বললে খুব একটা ভুল বোধহয় বলা হবে না। অন্তত বাংলায় তো বটেই। রাজনৈতিক মিটিং-মিছিল থেকে বইমেলা চত্বর, মদন মিত্রের সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য যে ঠেলাঠেলি পড়ে যায়, অতি বড় নিন্দুকও তা মানেন। তবে অতি চাহিদাই মাঝেমধ্যেই কাঁটা হয়ে ওঠে মদনের জন্য। রাজনীতির কারবারিরা বলেন, মদনের এমন এমন কিছু ছবি ভাইরাল হয়ে যায়, যা নিয়ে বিরোধীরা বেঁধেন, তাঁর দলও বিড়ম্বনায় পড়ে। কিছুদিন আগে এক তরুণীর সঙ্গে মদনের ছবি ভাইরাল হয়েছিল। যা নিয়ে কম শোরগোল হয়নি। এবার হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে মদনের ছবি প্রকাশ্যে। যদিও এসব বিষয় কোনওদিনই খুব একটা গুরুত্ব পায়নি মদন মিত্রের কাছে। এবারও পেল না। বরং মদনের খোঁচা, বিধায়ক না রেখে এবার তাহলে তাঁকে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট করে দেওয়া হোক।
হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতির অলিন্দে সবথেকে চর্চিত নাম। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত গোপাল দলপতির (Gopal Dalpati) স্ত্রী। আপাতত তাঁরা একসঙ্গে থাকেন না। তবে তাঁদের ‘জয়েন্ট ভেঞ্চার’ চোখ কপালে তোলার জন্য যথেষ্ট। এ হেন হৈমন্তীর সোশ্যাল প্রোফাইলে পাওয়া গিয়েছে রাজ্যের ‘কালারফুল’ বিধায়কের ছবি। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে হৈমন্তীর সেলফি রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে বাংলা বাজারে। তবে এসব নিয়ে মোটে মাথা ঘামাতে চান না মদন মিত্র। তাঁর দাবি, স্কুল-কলেজে যাওয়া মেয়েদের মাঝেও তাঁর ‘ক্রেজ’ কম নয়। মেলা হোক বা খেলার মাঠ, মদন মিত্রকে দেখতে পেলে, কেউই সেলফি তোলার সুযোগ ছাড়তে চান না। হৈমন্তীর সঙ্গে তাঁর সেলফিও সেভাবেই হয়ত উঠেছে।
আরও পড়ুন –আধার কার্ড নিয়ে ভুয়ো মেসেজ ছড়িয়ে পড়ছে, সত্যতা যাচাই জরুরি।
মদন মিত্রের কথায়, “আমার এক শুভানুধ্যায়ী আমাকে সকালবেলা পাঠিয়েছেন। আমার পাশে উনি খুব ঘনিষ্ঠভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি বললাম, আমাকে তৃণমূলের বিধায়ক বা পার্টির নেতা না করে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট করে দিলে অনেক বেশি মহিলা আমি সমবেত করতে পারতাম। এখন আমি কী করে বলব, কে কখন ছবি তুলছে। একটাই কথা বলি, কে হৈমন্তী মদন মিত্রের সঙ্গে কখন ছবি তুলল, কী করল এইগুলো না জেনে এর থেকে অনেক বেশি রহস্য ঘিরে থাকছে যে কুন্তল ঘোষ, গোপাল দলপতি এরা কারা। এদের অবস্থান কী?” এছাড়াও তার দাবি, “আমাকে তৃণমূলের বিধায়ক বা পার্টির নেতা না করে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট করে দিলে অনেক বেশি মহিলা আমি সমবেত করতে পারতাম।” একইসঙ্গে মদন বলেন, “কে হৈমন্তী, মদন মিত্রের সঙ্গে কখন ছবি তুলল, কী করল এইগুলো না জেনে এর থেকে অনেক বেশি রহস্য ঘিরে থাকছে যে কুন্তল ঘোষ, গোপাল দলপতি এরা কারা। এদের অবস্থান কী?”