দিল্লিতে কৃষি ভবনের সামনে তৃণমূল সাংসদরা, দেখা না পেলে বসবেন ধর্নায়

দিল্লিতে কৃষি ভবনের সামনে তৃণমূল সাংসদরা, দেখা না পেলে বসবেন ধর্নায় ,১০০ দিনের কাজ-সহ একাধিক গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পে প্রাপ্য অর্থ আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত কয়েক মাস ধরে এমনই অভিযোগ জানিয়ে আসছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। পাওনা অর্থ মেটানোর দাবিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সাংসদরা দিল্লির কৃষি ভবনের সামনে জড়ো হন। বুধবার সকালে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের সঙ্গেই দেখা যায় দলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার, দোলা সেন, শান্তনু সেন প্রমুখকে। তবে মন্ত্রক সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে সময় দেননি গিরিরাজ। তৃণমূল শিবির সূত্রে খবর, মন্ত্রী সময় না দিলে বকেয়া অর্থের দাবিতে মন্ত্রীর দফতরের সামনেই ধর্নায় বসবেন তাঁরা।

 

 

 

 

 

পাওনা আদায়ে তাঁরা যে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়াতে চান, মঙ্গলবার সেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন অভিষেক। বলেছিলেন, “একাধিক বার আমাদের প্রতিনিধিদল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একশো দিনের কাজের বকেয়া কেন্দ্রীয় অর্থ দাবি করেছে। কিন্তু লাভ হয়নি।” অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, “একমাত্র বাংলার টাকাই আটকে রাখা হয়েছে। ১৭ লাখ পরিবার কাজ করে বসে রয়েছে, টাকা পায়নি। বাকি রয়েছে ৭ হাজার কোটি টাকা।” বিজেপির তরফে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, রাজ্য খরচ করা টাকার হিসাব না দেওয়ার কারণেই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের তরফে বলা হচ্ছে, দুর্নীতির প্রমাণ থাকলে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্যের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দিক।

 

 

 

 

 

 

 

আর কয়েক দিনের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। সে কথা মাথায় রেখেই গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পে আটকে থাকা টাকা আদায়ে ‘সক্রিয়’ হতে চাইছে তৃণমূল। গত বুধ এবং বৃহস্পতিবার ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনার’ দাবিতে রেড রোডে দু’দিনের ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্নার শেষে, আন্দোলনকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তার পরই রবিবার দিল্লি সফরে যান অভিষেক।

 

 

 

আরও পড়ুন – কারখানার সামনে পড়ে প্যারাসুট, অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার বায়ু সেনা কর্মী

 

 

তৃণমূলের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বেলার দিকে কৃষি ভবনে ঢোকেন সাংসদরা। গিরিরাজের সচিব জানান, সকালে সংসদে ছিলেন মন্ত্রী। তারপর নিজের সংসদীয় এলাকার কাজে বেরিয়ে যাওয়ার কথা তাঁর। তবে এখনও পর্যন্ত মন্ত্রীর অপেক্ষায় দফতরেই বসে রয়েছেন তৃণমূলের ২৫ জন সাংসদ।