কুণালের উপস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে চোর চোর স্লোগান নন্দীগ্রামে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শেষ। গ্রামবাংলার ভোটের প্রচারে উত্তাপ বাড়ল পূর্ব মেদিনীপুরে নন্দীগ্রামে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে উঠল চোর চোর স্লোগান। নেপথে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
শেষবেলার প্রচারে এদিন নন্দীগ্রামে সভা করেন শুভেন্দু। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে সভা ছিল তৃণমূলের। সভা শেষে বিরোধী দলনেতার কনভয় যখন নন্দীগ্রামে বাসস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। শুভেন্দুকে দেখা মাত্রই মাইকে ‘চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলটা’, ‘গদ্দার হঠাও’ স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সামনেই চলতে থাকে এই স্লোগান। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মুখে এই স্লোগান শুনে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ হন শুভেন্দু।
‘চোর চোর চোরটা…’ স্লোগান শুনে কালো গাড়ির জানালা থেকে মুখ বের করে কিছু বলতে দেখা যায় তাঁকে। এক ফাঁকে হাত উঁচিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায় ‘সাইজ করে দেব’। কিন্তু মাইকের আওয়াজে তা স্পষ্টভাবে শোনা যায়নি। তৃণমূলের অভিযোগ ইচ্ছাকৃতভাবে তৃণমূলের সভা চলাকালীন শুভেন্দু ওই রাস্তায় ঢুকেছেন এবং অশ্লীল গালিগালাজ করেছেন। অন্যদিকে তৃণমূলের ‘অপসংস্কৃতি’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দুর যুযুধান লড়াই ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছিল নন্দীগ্রাম। পঞ্চায়েত প্রচারের শেষ লগ্নে ফের ধরা পড়ল চেনা ছবি।
আরও পড়ুন – প্রচারের শেষ দিনে ফের রাজ্যজুড়ে তৃণমূল থেকে ৯৬ জনকে বহিষ্কার ,
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘চোরকে লোকে চোর বলেছে। গদ্দারকে লোকে গদ্দার বলেছে। এটাই খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আমাদের সভা চলছে দেখা সত্ত্বেও ও ওখানে ঢুকেছে, তাই মানুষ এইসব বলেছে। আমরা নজর রেখেছি, আমাদের দলের ছেলেরা যাতে উত্তেজিত না হয়। শুভেন্দু এত অসভ্য জানালা থেকে মুখ বের করে অশ্লীল গালিগালাজ করছিল। বাড়িতে যেমন ছোটোবেলা থেকে শুনে বড় হয়, তেমনই কথাই বলছিল।’