তাজপুর ও সুতাহাটার বৈষ্ণবচকে বিপুল জয় ঘাসফুলের। শেষ হাসি হাসল তৃণমূলই, তাজপুর ও বৈষ্ণবচক নির্বাচনে সাফ বিরোধীরা,রবিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। চলে দুপুর ২ পর্যন্ত। তাজপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ছিলেন ৫৯৫ জন। জেলায় সমবায় নির্বাচন ঘিরে পারদ চড়ছে। জানা গিয়েছে, মহিষাদল-তাজপুর কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতির ১২টি আসনের মধ্যে ১২টিতেই ফুটল ঘাসফুল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই জয়ে সংগঠন আরও শক্তিশালী হল বলে মনে করছে তৃণমূল। জয়ের পর উল্লাসে মাতোয়ারা তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
অপরদিকে, সুতাহাটা ব্লকের অন্তর্গত বৈষ্ণবচক সমবায় সমিতির নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেস ১২টি আসন পেয়ে জয় লাভ করে। খাতা খুলতে পারেনি বাম-বিজেপি জোট। মোট প্রার্থী ছিলেন ৩০ জন । বিজেপি-র ১২ জন প্রার্থী, সিপিএম-এর ৬ জন প্রার্থী, তৃণমূল ১২জন প্রার্থী দেয়। এই সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ৭৮২ জন।
যদিও এই দুই নির্বাচন ঘিরে শাসক তৃণমূলের চাপা সন্ত্রাস ও ভীতি প্রদর্শনকেই দায়ী করেছে ভারতীয় জনতা পার্টির তমলুক জেলা বিজেপির সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, “আজকে মর্মে মর্মে বিরোধীরা বুঝেছে তৃণমূলকে ঠেকানো যাবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভান্ডার, বিনা পয়সার চাল, সবুজ সাথীর সাইকেল এই সব কিছুর জন্যই সমবায়ের জিত হয়েছে।”
আরও পড়ুন- তাপস মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ED
রবিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। চলে দুপুর ২ পর্যন্ত। তাজপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ছিলেন ৫৯৫ জন। এখানে শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপির লড়াই। মোট আসন ১২ টি। যার মধ্যে তৃণমূল ১ টি আসনে আগেই জয়লাভ করে। ফলত, ১১ টি আসনে লড়াই চলছিল। শেষে জয় হয় ঘাসফুল শিবিরের।