ফের ঐতিহাসিক টয় ট্রেনের (toy train) পথ চলা শুরু

ফের ঐতিহাসিক টয় ট্রেনের (toy train) পথ চলা শুরু

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
toy train

 

ফের ঐতিহাসিক টয় ট্রেনের (toy train)  পথ চলা শুরু
ছবি সংগ্রহে সাইন টিভি

দীর্ঘ করোনা কাল পেরিয়ে   নতুন করে পথ চলা শুরু করল দার্জিলিং-র ঐতিহ্যবাহী টয় ট্রেন (toy train) । বুধবার ভিস্তা ডোম কোচ লাগানোয় এবার পাহাড়ের মনরোম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকেরা। নিউ জলপাইগুড়ি-দার্জিলিং যাত্রা জেনো প্রকৃতিকে আরও কাছ থেকে উপভোগ করা যায়। চাইলেই জেনো পাহাড় স্পর্শ করা যায়। শুধু তাই নয় আকর্ষণ বাড়াতে নতুন সংযোজন জঙ্গল সাফারি। অন্যদিকে, দীর্ঘ ৩০বছর পর শুরু হলো পার্সেল ভ্যানও। হেরিটেজ তমকা পাওয়া এই টয় ট্রেন (toy train) চালু রাখতে বদ্ধ পরিকর।

 

শিলিগুড়ির অঘোষিত রাজধানী দার্জিলিং-র বিশেষ আকর্ষণই হল টয় ট্রেন (toy train) । এই টয় ট্রেন যাত্রা উপভোগ করতে শুধু দেশ নয় বিদেশ থেকেও পর্যটকেরা ছুটে আসেন। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বিশ্ব বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন “গুগুল” বিজ্ঞাপনের জন্যেও টয় ট্রেন বেঁছে নিয়ে নিয়েছেন। বলিউড থেকে টলিউডে রোমাঞ্চকর প্রেমের কাহিনী” মেরে স্বপ্নকে রানী কন আয়েগি তু” এছাড়াও পরিনিতা চলচিত্রের একটি গানের শুটিং হয়েছে এই টয় ট্রেনে।

 

আর ও পড়ুন    জলে আগুন জ্বেলেছেন শ্রাবন্তি (Sravanti)!

 

তবে একেতে করোনা তার উপর ধস করোনার কারনে প্রায় ১ বছর ধরে বন্ধ ছিল। আর বর্ষ নামতেই ধসের কারনে মাঝে মধ্যেই বন্ধ থাকে টয় ট্রেনের যাত্রা। তবে সমস্ত রকমের সংশয় কাটিয়ে বুধবার থেকেই চালু হয়ে গেলো টয় ট্রেন।

 

 

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ডিআরএম এস কে চৌধুরী এর সূচনা করেন। উপস্থিত ছিলেন রেলের অন্যান্য অধিকর্তারাও। প্রথমদিন হাতেগোনা যাত্রী নিয়েই পাহাড়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হল এই ট্রেন। কতজন যাত্রী তা নিয়ে ভাবতে নারাজ রেল তাদের লক্ষ্য ট্রেনটা চালানো। কিন্তু সবথেকে বেশী আকর্ষণ ছিলো ৩০বছর পর পার্সেল ভ্যান চালু।

 

এপ্রসঙ্গে এস কে চৌধুরী বললেন, আমরা টয় ট্রেনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলব। এই কারণে পার্সেল ভ্যান চালু করা হয়েছে। যে কোনও ব্যবসায়ী ৫টন মাল ৫০০০টাকা ভাড়া দিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। এর চেয়ে কমও মাল নিয়ে যেতে পারবে সেক্ষেত্রে ভাড়াও কম লাগবে। এছাড়া আমরা শিলিগুড়ি জংশন থেকে রংটং পর্যন্ত জঙ্গল সাফারি চালু করছি। সেটা ভিস্তা ডোম কোচেই নিয়ে যাওয়া হবে। বিকেল ৪টায় সময় ছাড়বে ট্রেন। অর্থাৎ সন্ধ্যার সময় পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা। এর ভাড়া মাথাপিছু ১০০০টাকা। সিজন টাইমে তা বেড়ে হবে ১২০০টাকা।

 

তিনি আরও বলেন, টয় ট্রেন হেরিটেজ তকমা পাওয়া তাই আমরা এই পরিষেবা চালু রাখতে বদ্ধপরিকর। তাই আমরা নতুন কোচ বানানোর পাশাপাশি নতুন রেললাইন ও ইঞ্জিনও নতুন করে বানাবো।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top