আজ কাল কার দিনে আট থেকে আশি প্রত্যেকটা মানুষই আসক্ত মোবাইল ফোনে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ফোনই হচ্ছে এখন মানুষের জীবন সঙ্গী। আর ফোন মানেই সোশ্যাল মিডিয়া। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সকাল থেকে রাত অবধি ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম স্ক্রল করছেন একটানা। আর এতেই বিপদ বাড়ছে। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ফিড স্ক্রল করতে করতে হঠাত্ আঙুল অবশ হয়ে যায়? আঙুলের ডগায় পিন ফোটার মতো অনুভূতি হয়? হতে পারে আপনি ‘টিগার ফিঙ্গার’-এ আক্রান্ত।
আরও পড়ুনঃ রাজভবনে তৃণমূলের কর্মসূচিকে ‘সস্তার রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর
কী এই ‘টিগার ফিঙ্গার’?
মূলত আঙুলের স্নায়ুর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়লে টিগার ফিঙ্গারের সমস্যা দেখা দেয়। এতে আঙুলে প্রদাহ তৈরি হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে আঙুল বেঁকে যায়। স্মার্টফোনের যুগে এই সমস্যায় ভুগছেন বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় ২ শতাংশ মানুষ। ‘টিগার ফিঙ্গার’কে চিকিত্সার ভাষায় স্টেনোসিং টেনোসাইনোভাইটিস বলা হয়। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে আঙুল বেঁকে যায় এবং সোজা করতে গেলে অত্যধিক ব্যথা হয়। মূলত ক্রমাগত আঙুল নাড়াচাড়ার করার ফলে টেন্ডনে প্রদাহ তৈরি হয়। টেন্ডন হল এক ধরনের টিস্যু যা হাড়ের সঙ্গে পেশিকে সংযুক্ত করে। এই টেন্ডনে প্রদাহ তৈরির কারণে আঙুল ফুলে যায়। তাই আঙুল সোজা করা বা বাঁকানোর সময় আঙুলে মারাত্মক ব্যথা হয়। অনেক সময় আঙুলের পাশাপাশি কব্জিতেও ব্যথা হয়।
টিগার ফিঙ্গারের লক্ষণ:
আঙুলে মারাত্মক ব্যথা, আঙুল বেঁকে যাওয়া, আঙুল সোজা না হওয়া ইত্যাদি টিগার ফিঙ্গারের সাধারণ লক্ষণ। এছাড়াও আঙুল নাড়াচাড়া করার সময় তীব্র সংবেদনশীল সৃষ্টি হয়, আঙুলের ডগায় পিন ফোটার মতো অনুভূত হয়। এই উপসর্গগুলো এড়িয়ে যাবেন না। যাঁরা সারাক্ষণ মোবাইল, ট্যাবের স্ক্রিন স্ক্রল করতে থাকেন কিংবা অন্য কোনও কারণে দীর্ঘক্ষণ হাত ও কব্জি নাড়াচাড়া করতে হলে টিগার ফিঙ্গারের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া যেসব আর্থ্রাইটিস এবং ডায়াবেটিসে ভোগেন, তাঁদের মধ্যে টিগার ফিঙ্গারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
টিগার ফিঙ্গারের উপসর্গ দেখা দিলে কী করবেন?
টিগার ফিঙ্গারের কারণে আঙুল বেঁকে গেলে, প্রদাহ দেখা দিলে কিংবা ফুলে গেলে আঙুলের উপর বরফ চেপে ধরুন। এছাড়া আপনি বিশেষ কিছু থেরাপির সাহায্য নিতে পারেন। আপনি চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।