নওশাদের সঙ্গে সেলফি তোলার হিড়িক তৃণমূল কর্মীদের, ভিড়টা বাড়তে শুরু করেছিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই। বাস থেকে ট্রেন, সব জায়গাতেই ঠাসা ভিড়। লক্ষ্য ধর্মতলা। উদ্দেশ্য তৃণমূলের একুশে জুলাই। শহিদ দিবসে সামিল হতেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীরা এসে জড়ো হচ্ছেন কলকাতায়। কিন্তু, একুশের সমাবেশের আগের দিন তিলোত্তমায় দেখা গেল রাজনৈতিক সৌজন্য়ের এক অন্য ছবি। ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশে এসে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে (Naushad Siddiqui) হাতের কাছে পেয়ে এগিয়ে এলেন তৃণমূল কর্মীরা। কেউ মেলালেন হাত, কেউ আবার তুললেন সেলফি। তৃণমূল কর্মীদের নিয়ম মেনে সাবধানে থাকার পরামর্শও দিলেন নওশাদ।
মোকারাম হোসেন নামে এক তৃণমূল কর্মী বললেন, “ওনাকে তো রোজই টিভিতে দেখি। সামনাসামনি কখনও দেখিনি। আজ দেখা হল।” তবে নওশাদের রাজনৈতিক উন্নতি নিয়ে সন্দিহান তাঁরা। বলছেন, “ও একা কী করবে! আমাদের মমতা দিদি যেটা করছেন সেটা যথেষ্ট।” তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে আর এক তৃণমূল কর্মী আব্দুল হালিম মিঁয়া আবার মমতার প্রশংসা করতেও ভুললেন না। বলছেন, “এসেছি দিদির ডাকে। দিদিকে ভালবাসি তাই অত দূর থেকে এসেছি। দিদির উন্নয়ন ভাল লাগে। দিদি তো রাজ্যটাকে আলো করে দিয়েছে। ৩৪ বছর বামফ্রন্ট রাজত্ব করল, আর দিদি ১৫ বছর করল। কী হল, কত উন্নয়ন হল তা বাংলার মানুষ দেখতে পাচ্ছে
আরও পড়ুন – ‘বিড়ম্বনা’ বাড়ল শুভেন্দুর! এফআইআর-করতে গেলে লাগবে না আদালতের নির্দেশ
সুদূর দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে এসেছেন বেশ কিছু তৃণমূল কর্মীরা। নওশাদকে দেখা মাত্রই হাত মেলাতে দেখা গেল তাঁদের। নিলেন স্বাস্থ্যের খোঁজ। দীর্ঘক্ষণ কথা বললেন নওশাদের সঙ্গে। মোকারাম হোসেন নামে এক তৃণমূল কর্মী বললেন, “ওনাকে তো রোজই টিভিতে দেখি। সামনাসামনি কখনও দেখিনি। আজ দেখা হল।” তবে নওশাদের রাজনৈতিক উন্নতি নিয়ে সন্দিহান তাঁরা। বলছেন, “ও একা কী করবে! আমাদের মমতা দিদি যেটা করছেন সেটা যথেষ্ট।”
(সব খবর , ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )