মমতা-বিক্রমসিঙ্ঘের সাক্ষাত্‍ নিয়ে শুভেন্দুর টিপ্পনি নিয়ে বিদেশ মন্ত্রীর কাছে নালিশ তৃণমূলের

'অপারেশন অজয়ে' দেশে ফিরল আরও ৪৭১ জন ভারতীয়

স্পেনে উডে যাওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুবাই বিমানবন্দরের লাউঞ্জে তাঁর চান্স মিটিং হয়েছিল শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংঘের সঙ্গে। মমতা-বিক্রমসিঙ্ঘের সেই হঠাত্‍ সাক্ষাত্‍ নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কটাক্ষ করে একটা কাল্পনিক সংলাপ লিখেছিলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সেই টিপ্পনি নিয়ে বিদেশ মন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্করের কাছে নালিশ করল তৃণমূল (TMC complaint to Jaishankar)।

আরও পড়ুনঃ শনিবার অধীবেশন চলাকালীন শাসক-বিরোধী দলের মদ্ধ্যে চুলোচুলি, কলঙ্কিত পুরসভা

বাংলায় শাসক দলের অভিযোগ, বিরোধী দলনেতার মন্তব্য খুবই নেতিবাচক। তা ভারত-শ্রীলঙ্কা কূটনৈতিক সম্পর্কে কূপ্রভাব ফেলতে পারে। ভারত-শ্রীলঙ্কা কূটনৈতিক সম্পর্কের এ বার ৭৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় বংশদ্ভূত তামিলরা এবার দ্বিশতবার্ষিকী পালন করছেন।

 

ঠিক কী টিপ্পনি করেছিলেন শুভেন্দু?

বিরোধী দলনেতা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ‘দুজনের ( পড়ুন মমতা-রনিল) মধ্যে কী কথা হয়েছে আমি আন্দাজ করার চেষ্টা করছি। রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে বলেছেন, ‘আমি শুনলাম আপনি আপনার রাজ্যকে অর্থনৈতিক সংকটের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন, যে সমস্যার মুখোমুখি এখন শ্রীলঙ্কা’। তার উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বলেছেন, বাজার থেকে কীভাবে আর ধার করা যায়, তা নিয়ে যদি আপনি আমাদের পথ দেখাতে পারেন। আপনাকে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’

 

এখানেই থামেননি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেই কাল্পনিক সংলাপে তিনি আরও লিখেছেন, ‘রনিল বিক্রমসিঙ্গে এর পর বলেন, বিনিয়োগ করার মতো আমাদের অবস্থা নেই। বাণিজ্য সম্মেলনে গিয়ে হবে? উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিনিয়োগ করতে হবে না। দু-তিনের জন্য এসে কাটিয়ে যান। একটা মউ সই করলেই হবে। বাণিজ্য সম্মেলনে সেটাই হয়। সবাই মউ সই করে, বিনিয়োগ করে না।’

 

শুভেন্দুর এই টিপন্নি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা লিখেছেন, বিরোধী দলনেতার এই ভূমিকা নিন্দনীয় (TMC complaint to Jaishankar)। তিনি রাজ্যের সম্পর্কে ভ্রান্ত ও সংকীর্ণ কথা বলেছেন। নভেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গে বাণিজ্য সম্মেলন হবে। সেখানে শ্রীলঙ্কাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তার আগে এরকম কটাক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে শুধু প্রভাব ফেলবে না, পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাতেও কূপ্রভাব ফেলতে পারে।

 

তৃণমূলের বক্তব্য, ভারত যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় চলে। সেখানে গঠনমূলক সহযোগিতাই মূল মন্ত্র। কিন্তু যে ভূমিকা বিরোধী দলনেতা নিয়েছেন, তা দেশের বিদেশনীতিকেও বিপন্ন করতে পারে।

en.wikipedia.org