২৮ অগস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার মূল থিম এবার অ্যান্টি রাগিং। তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস ২৮ অগস্ট। সেই অনুষ্ঠানমঞ্চের থিম হবে র্যাগিং-বিরোধিতাকে সামনে রেখে।এই সভার মূল বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।বিগত বছরগুলির তুলনায় এবারের ২৮ শে অগস্ট আয়োজনে এবং গুরুত্বের বিচারে বড় হতে চলেছে।শাসকদলের ছাত্র সমাবেশে ছায়া ফেলছে যাদবপুরকাণ্ড।বিএ প্রথমবর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাকে সামনে রেখে গত কয়েকদিনে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদ মাঠে ময়দানে নতুন করে তৎপর।এই আবহে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসেও র্যাগিং বিরোধিতা ছাত্র সমাবেশের মূল সুর।
যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি অব্যাহত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,র্যাগিংকে পিছনে ফেলে রাজনীতি এবং ক্যাম্পাস দখলের লড়াই প্রতিনিয়ত যাদবপুরকে সরগরম করে রেখেছে।এই আবহে রাজ্যের শাসকদলের ছাত্র শাখার প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠানেও উঠে আসতে চলেছে র্যাগিং এবং যাদবপুরকাণ্ডের আঁচ।যা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
এবারের ২৮শের সভা নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশ থেকে চিকিৎসা করে ফেরার পর এটি প্রথম জনসভা।অভিষেকের বিদেশযাত্রা নিয়ে কিছুদিন আগেই রাজনৈতিক মহলে জলঘোলা হয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির প্রেস রিলিজেও উল্লেখ করা হয়েছে তাঁর নাম। তা নিয়ে এখনও বিতর্ক রাজনৈতিকমহলে।বিরোধী দলনেতার সঙ্গে তাঁর ‘এক্স যুদ্ধ’ নিয়ে কম চর্চা হয়নি।এসবের মাঝেই প্রকাশ্য মঞ্চে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ ২৮ শে অগস্টের মঞ্চে ইন্ডিয়া (I.N.D.I.A) জোটের অন্যতম মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই সভায় ইন্ডিয়া জোটের সমর্থনে মঞ্চের সামনে ত্রিবর্ণ পোশাকে থাকবেন স্বেচ্ছাসেবকরা।ইন্ডিয়ার সমর্থনে থাকবে ফ্লেক্স, ব্যানার।মমতার বার্তার দিকেও তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। সভার প্রস্তুতিতে হাত মিলিয়েছেন দলের বর্ষীয়ান নেতারাও। বিগত দিনে এমনটা দেখা যায়নি।এবারের সভায় জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় আড়াই লক্ষ।উত্তর কলকাতার প্রায় সমস্ত ধর্মশালা, ক্ষুদিরাম অনুশীলন সমিতিতে বাইরে থেকে আসা ছাত্র ছাত্রীদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।সবমিলিয়ে সভা ঘিরে সরগরম তৃণমূল শিবির।
আরও পড়ুন – শুভেন্দুর ‘এনকাউন্টার’ মন্তব্যে আপত্তি APDR-এর, কী অভিযোগ এপিডিআর-এর?
এবারের মেয়ো রোডের সভায় র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে প্রচারে কার্যত সভাস্থল মুড়ে ফেলা হবে।সেই সঙ্গে সভায় অংশ নিতে আসা ছাত্রছাত্রীরা পরবেন কালো ব্যাজ।এবারের সভায় ছাত্র ছাত্রীদের প্রতিনিধি হিসাবে যাঁরা ভাষণ দেবেন,তাঁদের বক্তব্যেও উঠে আসবে র্যাগিং বিরোধী প্রচার।