অনুব্রত গড়ে জনরোষের মুখে TMC নেত্রী , ফের জনসাধারণের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের শেষ লগ্নে এসে একের পর এক জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে। সোমবার বীরভূম জেলার একাধিক জায়গায় একাধিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত জনসাধারণের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। অনেক জায়গায় নির্বাচন বয়কট করার হুঁশিয়ারিও দেন গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসীদের দাবি, ” দীর্ঘদিন ধরে দ্বারকা নদীর ব্রিজ বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে । বারংবার প্রশাসনের দারস্ত হয়েও কোন কাজ হয়নি। জানানো হয়েছিল ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও শতাব্দী রায় কেও। কিন্তু তারপরও শুধুই মিলেছে আশ্বাস হয়নি কোন সুরাহা। আরও গ্রামবাসীদের দাবি, এই সেকেড্ডা গ্রামে প্রায় ২২ হাজার মানুষের বসবাস এছাড়াও সেকেড্ডা সহ প্রায় পঁচিশটি গ্রামের মানুষের নিত্যদিন সিউড়ি সদর, মহম্মদবাজার থানা মোহাম্মদ বাজার ব্লক অফিস এবং সাঁইথিয়া যাতায়াতের ভরসা এই একটি মাত্র ব্রিজ। আর এই ব্রিজের বেহাল বেহাল দশার কারণেই নিত্যদিন দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হয় গ্রামবাসীদের। আর এই অভিযোগ তুলেই গ্রামের বাসিন্দারা।
পাশাপাশি গ্রামে প্রাথমিক স্কুলের দাবিও তোলেন তাঁরা। এমনকি এই বিক্ষোভের পর শতাব্দী রায়ের তরফে কোনও প্রতিশ্রুতি না মেলায় ভোট বয়কটেরও হুঁসিয়ারি দিলেন গ্রামবাসীরা। যদিও এই সময় ডিজিটাল কে শতাব্দী রায় জানান, “এই ব্রিজটি তৈরি করতে প্রায় 38 কোটি টাকা খরচ। যা সাংসদ তহবিল থেকে করা সম্ভব নয়।” তিনি জানান, আর তাই আমি সংশ্লিষ্ট দফতরকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানাতে পারব। যেহেতু এটা সংসদ তহবিল থেকে করা সম্ভব নয় তাই কোনও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আমি গ্রামবাসীদের দিইনি। বীরভূমের মাটিতে গতবারের মতো এবারেও ক্ষমতা ধরে রাখতে তৎপর রাজ্যের শাসক দল। এরপরেও গ্রামে গ্রামে বিক্ষোভের ছবি উঠে আসায় ভোট বাক্সে কী এর প্রভাব পড়বে, উত্তর আরও এক সপ্তাহ বাদে।
সোমবার মহম্মদ বাজারের দীঘল গ্রামে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। গ্রামবাসীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার বেহাল অবস্থা এবং গ্রামের নর্দমা গুলিও সংস্কার করা হয় না। স্বাভাবিকভাবেই বর্ষাকাল এলেই নর্দমার নোংরা জল ঢুকে যায় তাদের বাড়িতে। পঞ্চায়েত প্রধানকেও বারংবার জানিয়ে হয়নি কোন কাজ। আর তাই আজ গ্রামবাসীরা এই সমস্ত কাজ না হওয়ার কারণে বিক্ষোভ দেখায় শতাব্দী রায়কে।
আরও পড়ুন – লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৫০০ থেকে ২০০০! পঞ্চায়েতের মুখে আশ্বাস বিধায়কের
দীঘল গ্রামের পর এবার সেকেড্ডাতেও বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। বেহাল ব্রিজ মেরামত না হয় তাহলে ভোট বয়কট করারও হুঁসিয়ারি দিয়েছেন তারা। মহম্মদ বাজারের দীঘল গ্রামের পর এবার সেকেড্ডাতেও গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী রায়।