কংগ্রেসের থেকে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। এবার গোয়ায় কংগ্রেসে ফাটল ধরিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোকে দলে নিচ্ছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী জোটে চিড় ধরবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ( splitting )। তৃণমূল সা্ংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের অবশ্য দাবি, বিরোধী জোটে চিড় ধরার কোনও সম্ভাবনাই নেই। বিরোধী ভোট ভাগ হওয়ার আশঙ্কাও নেই বলে দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ।
আর ও পড়ুন বিস্ফোরক বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপির বিরুদ্ধে কী বললেন তিনি ?
বিরোধী ঐক্য ফাটল ধরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, ‘বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরার কোনও সম্ভাবনই নেই। কোনও কেন্দ্রে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সেরা বিকল্প কে, তা বেছে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সচেতন এবং সতর্ক ভোটাররা। ( splitting ) গোয়ায় কংগ্রেসের বিশ্বাসযোগ্যতা আছে, কিন্তু সেখানকার মানুষ বলছেন কংগ্রেস বিজেপি-র বিকল্প নয়। আম আদমি পার্টিও একটি বিকল্প হলেও তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। তাই আমাদের মনে হয়েছে গোয়ার জন্য এই সময়ই ঝাঁপানো উচিত।’
গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রবীণ কংগ্রেস নেতা লুইজিনহো ফেলেইরো আজই কংগ্রেসের সদস্যপদ ছেড়ে এবং বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। সম্ভবত বুধবার তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন। গোয়ায় এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়া কংগ্রেসের কাছে যা অত্যন্ত বড় ধাক্কা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই এ দিন প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির বিভিন্ন পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বেশ কয়েকদন কংগ্রেস নেতা। তাঁরা লুইজিনহোর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন।
আর ও পড়ুন বিস্ফোরক বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপির বিরুদ্ধে কী বললেন তিনি ?
আগামী বছর গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে গোয়ায় নিজেদের সংগঠন বিস্তারে লুইজিনহোর মতো অভিজ্ঞ নেতার উপরে আস্থা রাখছে তৃণমূল। ডেরেক ও ব্রায়েন আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, গোয়ায় কংগ্রেসে ভাঙন ধরাবে তৃণমূল। এই মুহূর্তে গোয়ায় ক্ষমতা দখলের জন্য আপও ঝাঁপিয়েছে।
ডেরেক অবশ্য দাবি করেছেন, তৃণমূল কখনওই নিজেদেরকে বিজেপি বিরোধী প্রধান শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় না। কিন্তু বিশ্বাসযোগ্যতার নিরিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার থেকে এগিয়ে বলে দাবি করেছেন ডেরেক।
এর আগে সুস্মিতা দেবের মতো অভিজ্ঞ নেত্রী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এ দিনই রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সুস্মিতা দেবের দলত্যাগও কংগ্রেসের কাছে যথেষ্ট বড় ধাক্কা ছিল। বার বার কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ নেতার যোগদানে দুই দলের সম্পর্কে প্রভাব পড়ে কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল সাংসদ ডেরেকের অবশ্য দাবি, তারা কংগ্রেসে ভাঙন ধরালেও বিরোধী ঐক্যে কোনও প্রভাব পড়বে না।