‘আমার নখের যোগ্য নয়, আর দাঁড়ালে ভোটে জিতবে না’, বাইরানকে আক্রমণ হুমায়ূনের, ফের বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এবার বাইরন বিশ্বাস প্রসঙ্গে মুখ খুলতে দেখা গেল তাঁকে। তাঁর দাবি, “ভোটে দাঁড়ালে আর জিততে পারবেন না বাইরন বিশ্বাস। জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।” তবে কি বাইরনকে দলে নিয়ে বিশেষ লাভ হল না তৃণমূলের? রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন। উত্তর দিতে গিয়ে কিছু বলতে গিয়েও ‘দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের ভয়ে’ চুপ করে গেলেন হুমায়ুন। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভরতপুরের বিধায়কের বাইরন নিয়ে মন্তব্যে স্বভাবতই অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলের।
হুমায়ুন কবীর বলেন, “আমি বাইরন বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করে বলছি ওঁর নিজের আসন হোক বা ফরাক্কা, রেজিনগর, জলঙ্গি থেকে লড়াই করে দেখান। উনি যদি ভোটে লড়াই করে নিজের জামানত আটকাতে পারেন তাহলে আমরা আগামীতে রাজনীতির ময়দানে বাইরন বিশ্বাসকে নেতা বলে মেনে নেব। কংগ্রেস, সিপিএমের সক্রিয় সমর্থন ছাড়া, বিজেপিরও একশ্রেণির মদত ছাড়া বাইরন বিশ্বাস সাগরদিঘিতে নির্বাচিত হতে পারতেন না। মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। রাজনৈতিক কোনও ধ্যান-ধারণা নেই। মানুষের পালস বোঝার ক্ষমতা ওর নেই। পলিটিক্যাল দিক থেকে ও আমার নখের যোগ্য নয়। একদিনে আকাশ থেকে পড়ে রাজনীতি করা যায় না।”
তবে কি সত্যিই বাইরনকে দলে নিয়ে তৃণমূলের আখেরে ক্ষতি হল? হুমায়ুনের সাফ জবাব, “চাইলেও এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিতে পারব। কারণ আমাকে দলের নির্দেশ মেনে চলতে হয়। অতীতেও আমাকে বিনা কারণে দল থেকে বহিষ্কার হতে হয়েছিল। শুধু ন্যায়ের পক্ষে থাকতে গিয়ে এটা হয়েছিল। ফলে এর উত্তর আমার কাছে থাকলেও আমি এখন তা দিতে পারব না।”
আরও পড়ুন – ‘একটু জল দিন’, মৃতদেহের স্তূপ থেকে উদ্ধারকর্মীর পা জড়িয়ে ধরল একটি হাত,
প্রসঙ্গত, শেষ বিধানসভা ভোটের পরও ছিল হাত শিবিরের হাত শূন্য ছিল। কংগ্রেসের দখলে ছিল না একটাও আসন। কিন্তু, সাগরদিঘি উপনির্বাচনের পর নতুন করে অক্সিজেন পায় বাম-কংগ্রেস শিবির। তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে ভোটে জেতেন বাইরন বিশ্বাস। এর মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই ঘুরে যায় খেলা। যে তৃণমূলকে হারিয়ে সাগরদিঘি নিজের পকেটে পুরেছিলেন সেই তৃণমূলেই ভিড়তে দেখা যায় বাইরন বিশ্বাসকে। ফের বিধানসভায় শূন্য হয়ে যায় হাত। যদিও দলবদলের পর বাইরনের সাফ দাবি ছিল, তিনি কংগ্রেসের ভোটে জেতেননি। জিতেছিলেন নিজের নাম এবং ভাবমূর্তিতে। সেই বাইরনকেই নিয়ে এবার চাঁচাছোলা আক্রমণ হুমায়ুনের।