পঞ্চায়েত হিংসায় কমিশনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস নিয়ে তৃণমূলের অবস্থানের কিছু উল্টো মেরুতে দাঁড়াতে দেখা গেল অবসরপ্রাপ্ত আইএস কর্তা তথা ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। কমিশনের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিলেন ডেবরার বিধায়ক। হুমায়ুন কবীর বলেন, “বাঙালি হিসেবে লজ্জিত, মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে লজ্জায়।” বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত খুনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে তাঁর এটাও বক্তব্য, “পুলিশ এলাকায় থাকলে, অনেক সময় ঝামেলা খুব কম হয়। পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও গন্ডগোল কম হয়।” কবীর বলেন, “পুলিশের ভূমিকা কী, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। তবে এটা বলব, শুধু পুলিশের দোষ না, দোষ রাজনৈতিক দল থেকে কমিশন, সবারই রয়েছে।”
পঞ্চায়েতে হিংসার দায় কারোর একার ঘাড়ে নয়, কমিশন, প্রশাসন, রাজনৈতিক দলগুলির ব্যর্থতা বলেই দাবি করেছেন হুমায়ুন কবীর।
প্রাক্তন আইপিএস তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে প্রশ্ন করা হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা কী অমান্য হল? হুমায়ুনের যুক্তি, “আমাদের দলের লোক সংখ্যা বেশি বলে বিরোধীরা দোষ দিচ্ছে। সমাজটা খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কোনও প্রার্থী তো মারা যায়নি, মারা গিয়েছেন প্রার্থীর হয়ে যাঁরা লড়াই করছেন তাঁরা। অনেক ক্ষেত্রে অ্যাক্সিডেন্টাল মৃত্যু হয়েছে।” দেগঙ্গায় ভোটের আগে বোমাবাজি সতেরো বছরের এক কিশোরের মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন – নন্দীগ্রামে পুকুরে স্নান করা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি প্রার্থীর ঝামেলা, ঘটনাস্থলে পৌঁছে কি বললেন…
তবে কি হিংসা দমনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যর্থ? হুমায়ুনের যুক্তি, “কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিশৃঙ্খলা, কমিশন ও বাহিনীর মধ্যে তালমিলের অভাব রয়েছে। কমিশন কতটা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করেছে, কতটা পারেনি সেটা তো কমিশনের বিষয়।” তবে তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্পর্শকাতর এলাকা চিনিয়ে দেওয়া, তাকে গাইড করা পুলিশের সাধারণ একটা কাজ। তবে সর্বত্র জেলা প্রশাসনের কী ভূমিকা ছিল, তাও দেখবার বিষয় রয়েছে। রুটমার্চ, এলাকা ডমিনেশন , নাকাচেকিং ঠিকমতো হয়নি বলে স্বীকারও করে নেন প্রাক্তন আইপিএস কর্তা।