মা বলে চেঁচিয়ে প্রাণে বাঁচলেন তৃণমূল নেতা,রাতের অন্ধকারে পঞ্চায়েত সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি। ব্যাপক শোরগোল বসিরহাটে (Basirhat)। কারা গুলি চালাল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতর। সূত্রের খবর, বসিরহাট থানার গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঘরিয়া গ্রামের তৃণমূলের (Trinamool Congress) পঞ্চায়েত সদস্য মৃত্যুঞ্জয় কর্মকারকে লক্ষ্য করে রাতের অন্ধকারে গুলি চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। জানা যায়, শুক্রবার ভোররাতে ৩ ব্যক্তি এসে গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে ভোররাতে এসে ডাকাডাকি শুরু করে। তাঁদের ডাক শুনে ওই তৃণমূল নেতা ঘর থেকে বেরিয়ে এলে তাঁকে ঘিরে ফেলে তিন ব্যক্তি। চলে গুলি।
ঘটনা প্রসঙ্গে মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার বলেন, “গতকাল রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বাড়ি আসি। ঘরেই ছিলাম তারপর। পৌনেএকটা তখন তিনটে ছেলে এখানে এসে দাঁড়ায়। আমার মায়ের কাছে আমার খোঁজ নেয়। আমার মা ওদের বসতে বলে। আমি বেরিয়ে এসে দেখি ওরা তিনজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে। আমি অন্ধকারে খানিক এগিয়ে যেতেই আমাকে তিনজন ঘিরে ফেলে। পকেট থেকে মেশিন বের করে। বলে জানে মেরে দেব। আমি বাধা দিই। মা বলে চেঁচাতে চেঁচাতে ছুটে পালিয়ে আসি। তখন ওরা পরপর গুলি চালাতে শুরু থাকে। কোনওমতে ঘরে ঢুকে রক্ষা পাই। পুলিশকে ফোন করি। তখনও মা জানলা দিয়ে দেখে ওরা গুলি চালিয়েই যাচ্ছে বাড়ির দিকে।” ঘটনা প্রসঙ্গে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমাদের গ্রামে এরকম ঘটনা আগে হয়নি। এই প্রথম এরকম ঘটনা ঘটল। সবাই খুব আতঙ্কে রয়েছি। পুলিশ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখুক। দোষীদের শাস্তি দিক।”
আরও পড়ুন – তিহাড়ে গিয়ে সেহগলকে জেরা করবে সিবিআই, মিলল অনুমতি ,
তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ওই তৃণমূল নেতা। কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায় দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলি। তখনই চিৎকার করতে শুরু করে দেন তিনি। তাঁর চিৎকার-চেঁচামেচিতেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ততক্ষণে তাঁর চিৎকার আর গুলির শব্দ ছুটে এসেছেন বাড়ির অন্য সদস্যরা। পাড়ায় জমেছে ভিড়। মোট ২ রাউন্ড গুলি চলেছে বলে খবর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বসিরহাট থানার পুলিশ। কিন্তু কী কারণে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা, এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক শত্রুতা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। চাপনউতর চলছে গোটা এলাকাতেই। রয়েছে আতঙ্কের বাতাবরণ।