আজ তৃণমূলের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ। পুরসভার কাজের সব খতিয়ান থাকবে এটিতে। ভিশন ডকুমেন্ট আকারে এই রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করা হবে। কলকাতা পুরসভার বিদায়ী পৌর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম অবশ্য জানিয়েছেন, একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এই রিপোর্ট কার্ড-এ।
পুর নির্বাচনের শেষ লগ্নে প্রকাশ করা হচ্ছে দলীয় ইস্তাহার। তবে প্রথাগত নির্বাচনী ইস্তাহার নয়। কলকাতার পুরভোটের জন্যে বানানো হয়েছে গত ছ’বছরের ‘রিপোর্ট কার্ড’। যদিও দলের দাবি, গত ছ’বছরের ‘রিপোর্ট কার্ড’ বানানো হয়েছে। এরই পাশাপাশি আগামী দিনে কী কী পরিকল্পনা রয়েছে তারও উল্লেখ থাকবে এই ইস্তেহারে। তৃণমূল সূত্রে খবর, জমা জলের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়েছে শহর কলকাতা। কিন্তু পুরবোর্ড ফের দখলের পর এই সমস্যা নিয়ে কাজ করতে চায় তারা। এরই সঙ্গে পানীয় জলের পর্যাপ্ত জোগানের প্রতিশ্রুতি থাকতে পারে। উল্লেখ্য, এখনও প্রচুর এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। এবার সেই দিকটিতে নজর দিতে চায় রাজ্যের শাসকদল। পাশাপাশি হেরিটেজ ভবন সংরক্ষণে জোর দেওয়া হবে। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘শহরের দৃশ্য দূষণ রুখতে তারের জঞ্জাল সরাতেই হবে। হোর্ডিং, পোস্টার যত্রতত্র দেওয়া চলবে না।’
এঅর্থাৎ এই বিষয়গুলির ওপরেও নজর রয়েছে তৃণমূলের। একই সঙ্গে তৃণমূল জোর দিচ্ছে পরিবেশের উপরে। কলকাতা শহরের দূষণ রুখতে ব্যবস্থা নিতে চায় তারা। সেই কারণেই গাছের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনাও রয়েছে। ই-ভেহিক্যালের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনায় নেওয়া হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, ১২টি বিভাগের কাজের খতিয়ান তুলে ধরা হবে। মূলত পানীয় জল, আলো, রাস্তা, স্বাস্থ্য, নিকাশি এবং জঞ্জাল অপসারণ, বস্তি উন্নয়নে শহর জুড়ে যে কাজ হয়েছে, সেই তালিকাই ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিতে চায় শাসকদল।
আর ও পড়ুন বিপিন রাওয়াতের দেহ শায়িত মর্গে, আজ শেষ শ্রদ্ধা
পাশাপাশি যে বড় কাজগুলি বিগত বছরে করা হয়েছে, তার সংক্ষিপ্তসার থাকবে লিফলেটে। যা পুরসভার ফেসবুক পেজ সহ বিভিন্ন রাস্তায় ব্যানার আকারে লাগিয়ে প্রচার করা হবে। পাড়ায় পাড়ায় লিফলেটও বিলি করবে জোড়াফুল শিবির। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ওয়ার্ডভিত্তিক পুস্তিকা বানানো হয়েছিল।
তৃণমূলের সংগঠন সম্পর্কে প্রশান্তর সংস্থা আইপ্যাক ইতিমধ্যেই ওয়ার্ড স্তরে একাধিক সমীক্ষা করেছে। সেখানে পুর পরিষেবার নিরিখে অবস্থা যাচাই করা হয়েছে। ফলে কোথায় কী কাজ হয়েছে এবং কোথায় কী কাজ দরকার, তার স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হবে এই প্রচার পুস্তিকায়। দলীয় সূত্র বলছে, গ্রামের পাশাপাশি নগরোন্নয়নে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
