গত ৫ অক্টোবর থেকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে রাজভবনের উত্তরের ফটকের অনতিদূরে ধর্না কর্মসূচি চালাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। রাজভবন চত্বরে জারি থাকা ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে ধর্না কর্মসূচি চালানোর অভিযোগ উঠেছে অভিষেকের বিরুদ্ধে। যা বেআইনি বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতারা। আর এবার তা নিয়েই কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করতে গিয়েছিলেন এক বিজেপি নেতা। আর্জি জানিয়েছিলেন, জরুরি ভিত্তিতে শোনা হোক মামলাটি। কিন্তু তাঁর সেই আর্জি শোনা মাত্র বাতিল করল হাই কোর্ট। সোমবার মামলাটি ওঠে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু জরুরি ভিত্তিতে মামলাটি শোনার আর্জি জানাতেই তিনি সপাট জানিয়ে দেন, কোনও ভাবেই তা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুনঃ কামদুনি মামলায় সব পক্ষকে নোটিশ জারি সুপ্রিম কোর্টের, এক সপ্তাহের মধ্যে নোটিসের উত্তর দেওয়ার নির্দেশ
ইতিমধ্যেই এই ধর্ণা নিয়ে সমাজ মাধ্যমে এবং প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন বাংলার বিজেপি নেতারা। অন্য দিকে, রাজভবনও চিঠি দিয়ে নবান্নের কাছে জানতে চেয়েছে, কার অনুমতিতে ওই ধর্না কর্মসূচির আয়োজন করা হল রাজভবনের সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে? কিসের ভিত্তিতেই বা দেওয়া হয়েছে ওই অনুমতি? এর মধ্যেই বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি একটি জনস্বার্থ মামলা করেন কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাটি সোমবার শুনানির জন্য উঠেছিল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু মামলাটি শোনার পরই প্রধান বিচারপতিকে স্পষ্ট বলতে শোনা যায়, ”নো নো সরি সরি।” তার পরেই তিনি জানিয়ে দেন এটা সম্ভব নয়।
তবে জরুরি ভিত্তিতে মামলাটি শুনানি না হলেও মামলাটি দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার তার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলার একশো দিনের প্রকল্পের টাকা আদালয়ের দাবিতে দিল্লি থেকেই রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ৫ অক্টোবর রাজভবন অভিযানে যান তৃণমূল নেতা কর্মীরা। রাজভবনের উত্তর গেটের সামনে ধরনা মঞ্চ বেঁধে আন্দোলন চলছে। নেতৃত্বে খোদ অভিষেক। ঘটনাচক্রে ৫ তারিখ আবার উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেদিনই তৃণমূলের এই কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।