
Tripura-য় বিপ্লব দেবের সরকারকে কড়া আক্রমণ ফিরহাদের। Tripura-কে কেন্দ্র করে ক্রমশ সরগরম হয়ে উঠছে জাতীয় ও বঙ্গ রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল যুব নেতা নেত্রী দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তরা। তারপরই তাদের গ্রেফতার করে Tripura পুলিশ। তাদের পাশে দাঁড়াতে ত্রিপুরা পৌঁছান তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ব্রাত্য বসু, দোলা সেন, কুণাল ঘোষ ও Tripura-র তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে ত্রিপুরার খোয়াই থানার পুলিশ। ১৮৬/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করে খোয়াই থানার পুলিশ।আর এবার এই বিষয় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ” বিজেপি দল হল প্রতিহিংসার দল। অর্থাৎ প্রতিহিংসা করবো ভয় দেখাবো পুলিশ দেখাবো, এখানে যেমন সিবিআই, ইডি দেখায় সেরকম।” ফিরহাদ হাকিমের আরও প্রশ্ন, ” এটা করে কখনও তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকানো যায় ?
বিপ্লব দেব যে ক্ষমতা থেকে চলে যাচ্ছেন এটা ত্রিপুরার মাটিতে লেখা হয়ে গেছে।” তিনি আরও বলেন, ” যতই কেস দাও আমরা ভয় পাবোনা, যতোই জেল দাও আমরা ভয় পাবোনা। ২০২৩-এ ত্রিপুরাতে বিজেপি যাচ্ছে, ২০২৪-এ ভারতবর্ষ থেকে বিজেপি যাচ্ছে। এই পুলিশই তখন আমাদের স্যালুট করবে যারা কেস দিচ্ছে।” বলে দাবি পরিবহণ মন্ত্রীর। ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করা হয়েছে কোভিড বিধি একজনও মানেন নি, এই অভিযোগ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের এই কথায় ফিরহাদ হাকিম বলেন, ” কোভিড বিধি মেনে করা হয়েছে।
আন্দোলন যখন হয়, যখন কাউকে গ্রেফতার করে রাখা হচ্ছে, তখন তাকে ছাড়াতে থানায় যেতেই হবে। এটা কোভিড বিধি ভঙ্গের কী আছে ?” একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, “যারা অভিষেককে কালো পতাকা দেখালো, গাড়িতে মারলো তারা কী কোভিড বিধি মেনে করলো তাদের কেস হল না কেন ? যে জমায়েত করা হল অত লোক একসঙ্গে ছিল তাদের বিরুদ্ধে তো কোথাও কেস হয় নি। যখন বিজেপি এত মানুষ সেখানে জমায়েত করল তাদের বেলায় কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না ? কোভিড বিধি কি শুধু তৃণমূলের জন্য প্রযোজ্য ? কোভিড বিধি কী একতরফা হয় নাকি ? ” এর পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য ‘ত্রিপুরায় বিজেপি ভয় পেয়েছে, তাই এরকম করছে। বিজেপির ভয় থেকেই তৃণমূলের জয় শুরু হয়ে গিয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেন পরিবহনমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা ফিরহাদ হাকিম।