ত্রিপুরায় নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়ছে বাম-কংগ্রেস, ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ত্রিপুরায়। দরজায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন। শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঝড় তুলছে শাসক থেকে বিরোধী দলগুলি। এই সময় একে অপরকে আক্রমণ করতেও ছাড়ছে না। ত্রিপুরায় ক্ষমতা ধরে রাখতে যেরকম মরিয়া বিজেপি। সেরকমই রাজ্য থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে উঠেপড়ে লেগেছে বাম-কংগ্রেস জোট। সেই মর্মে জোটও বেঁধেছে তারা। আর এই নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট জিতলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার জানিয়েছেন, বাম-কংগ্রেস জোট নির্বাচনে জিতলে সিপিএম-র একজন বর্ষীয়ান আদিবাসী নেতাই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
ত্রিপুরার ৬০ টি আসন সমন্বিত বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম ও কংগ্রেস জোট বেঁধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই রাজ্যে। তার আগে নিজেদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা না করলেও এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে কোন দল থেকে মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া হবে। উনাকোটি জেলার কৈলাশহরে বাম-কংগ্রেস যৌথভাবে অনুষ্ঠিত এক জনসভা থেকে অজয় কুমার বলেন, “নির্বাচনের পরে আমরা ক্ষমতায় এলে সিপিএম-র একজন শীর্ষ আদিবাসী নেতা এবং মাটির ছেলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন।” কংগ্রেস নেতা এই মন্তব্য করার পরই মুখ্য়মন্ত্রী হিসেবে সিপিএম নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীর নাম উঠে এসেছে। তিনি আদিবাসী সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতা। সিপিএম-কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে তিনিই প্রথমে রয়েছেন। এদিকে এই জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, সেই বিষয়ে শুক্রবার কোনও মন্তব্য করতে চাননি সিপিএম-র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত বিধায়করা নেবেন।
আরও পড়ুন – কেষ্টদা জেলে থেকেই বিকাশদার সঙ্গে কথা বলছেন ! বিস্ফোরক কাজল শেখ
এদিকে কংগ্রেসের অজয় কুমার দাবি করেছেন, বিজেপি এই নির্বাচনে পাঁচটি আসনও জিতবে না। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান সিপিএম মাণিক সরকার প্রথমেই এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। অপেক্ষাকৃত নবীণ নেতাদের হাতে এই নির্বাচনের ব্যাটন তুলে দিয়েছেন তিনি। তবে বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছেন তিনি। এই কৈলাশহরের সভা থেকে তিনি বলেন, “আরএসএস চালিত এই বিজেপি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এই ফ্যাসিবাদী শাসন শেষ করে ত্রিপুরায় জনমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সতর্ক ভোটাররা।” ত্রিপুরায় বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখবে, নাকি কংগ্রেস-সিপিএম জোট ফিরবে বা ঘাসফুল ফুটবে কি না তা জানা যাবে ২ মার্চের ফলাফলে।
(সব খবর, ঠিক খবর, প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং youtube )