নিজস্ব সংবাদদাতা,তেলিয়ামুড়া, ১০ অক্টোবর, ২০২০: শারদীয়া উৎসবের আগমনের আভাস সব থেকে আগে পাওয়া যায় যখন ঢাকে কাঠি পরে। ঢাকির আওয়াজের মধ্যে দিয়েই জানান দেয় মা এসেছে। কিন্তু এবারে করোনা কালে অসহায় হয়ে পড়েছেন ঢাকি শিল্পীরাও। একে করোনা তাঁর উপর আধুনিক টেকনোলজি, পুজোর বাজেট থেকে তাই বাদ পরেছে তাঁদের নাম। কিন্তু তাঁরা কি করবেন এবারে? সারা বছর তো চেয়ে থাকেন পুজোর সময়টুকুর জন্যই।
ত্রিপুরার তেলিয়ামুড়ার বিভিন্ন এলাকায় ঢাকি শিল্পীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। শুধু তেলিয়ামুড়াতেই প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ এর মত ঢাকি শিল্পী রয়েছেন।সেখানেই শান্তিনগর গ্রামের এক ঢাকি শিল্পী উত্তম নট্টদাস। দীর্ঘ বছর ধরে তাঁর একটাই পেশা এবং নেশা, ঢাক বাজানো।।সেই শান্তিনগর গ্রামের উত্তম নট্টদাসের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেলো তিনি নিজের ঢাক গুলোকে সংস্কার করছেন শারদীয়া উৎসবকে সামনে রেখে। উনাকে শারদীয় পূজার প্রাক-প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি আক্ষেপ করে জানিয়েছেন, এই বছরে করোনার জেরে ঢাক শিল্পীরা একেবারে পথে এসে বসেছেন। পূর্বে শারদীয়া পুজোতে ঢাক বাজানোর জন্য চুড়াইবাড়ি, ধর্মনগর, কাঞ্চনপুর, সহ বিভিন্ন জায়গায় যেতেন আয় উপার্জনের জন্য।
আরও পড়ুন…করোনা আবহে আর্থিক সংকটে মাইক ব্যাবসায়ীরা
কিন্তু এক বছর বড় পুজো মণ্ডপ তো দুরের কথা, ছোট মণ্ডপ গুলি থেকেও এখনো ডাক পাননি তাঁরা। স্বভাবতই কিভাবে কাটবে দিন, আদৌ কি কোন ডাক আসবে, সেই চিন্তাতেই দিন কাটাচ্ছেন এখন ঢাকি শিল্পীরা।