ত্রিপুরায় কলেজ পড়ুয়াকে চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণ! গ্রেফতার ২, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি জারি , কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ত্রিপুরায় এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হল। বাকিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। ঘটনায় সঙ্গে চার জন জড়িত বলে পুলিশের সন্দেহ। কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষনেক ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে প্রতিবাদ। অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী ছাত্রীকে গাড়িতে তুলে গণধর্ষণ করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরপর তাঁকে গত সোমবার রাতে পশ্চিম ত্রিপুরায় এক জায়গায় ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই ছাত্রীকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে ভুক্তভোগীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কজনক বলে জানা গেছে।
ধর্ষণের ঘটনার নিন্দা করে ত্রিপুরা গণতান্ত্রিক নারী সমিতিও প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। একাধিক বাম সংগঠনের পক্ষ থেকে আগরতলায় পুলিশের সদর দফতর ঘেরাও করা হয়েছিল। আগামী দিনে রাজ্যের প্রতিটি থানায় বিক্ষোভসূচি পালন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মহিলা বিজেপির একটি দল হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করে। পড়ুয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেয় মহিলা দলের প্রতিনিধিরা। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলেও পড়ুয়ার পরিবারকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে।
এই ঘটনার পরেই গত বৃহস্পতিবার তদন্তে নামে পুলিশ। একাধিক জায়গার CCTV ফুটজে খতিয়ে দেখার পর ২ জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে একজন গাড়ির চালক। ধৃতদের জেরা করে বাকি দুই জনের খোঁজে পুলিশ। অভিযুক্ত সকলেই ওই কলেজ পড়ুয়ার পূর্ব পরিচিত বলে জানা গেছে।
ত্রিপুরা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের নাম প্রসেজিৎ পাল। তাকে ধরতে বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। এই সময় পালিয়ে যায় সে। অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৯০ লক্ষ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ওই পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন – হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ৫৪০ নেতা-সহ ইমরানের দলের প্রায় ২৮০০ কর্মী গ্রেফতার
ভর সন্ধেতে কলেজ পড়ুয়াকে গণধর্ষণের ঘটনায় বিভিন্ন সংগঠনের তরফে রাজধানী আগরতলার একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। আইনশৃঙ্খলার অবনতির দাবি করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি করেছে প্রতিবাদী সংগঠনগুলি।
এদিকে, ঘটনার তদন্তে ত্রিপুরা পুলিশের বিশেষ দল বা সিট গঠন করা হয়েছে। শুরু হয়েছে রাজ্যের একাধিক এলাকায় তল্লাশি। খুব শীঘ্রই বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব বলে সিটের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।