যাদবপুরকাণ্ডে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান , ‘রাজ্যকে অবশ্যই মানতে হবে হাইকোর্টের নির্দেশ। কোনও ছাত্রের ব়্যাগিং করার অধিকার নেই।’ যাদবপুর ইস্যুতে এদিন এ ভাষাতেই রাজ্য সরকারের ভর্ৎসনা করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। প্রসঙ্গত, যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) খবর সামনে আসার পরেই পথে নেমেছে বিজেপি। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিও তোলা হয়েছে। ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়ে আগেই শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। তাঁর সাফ দাবি ছিল প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত হোক। এবার ধর্মেন্দ্র প্রধান মুখ খোলায় তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি শিক্ষামহলেও শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
যাদবপুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে যাদবপুর নতুন অস্থায়ী উপাচার্যও পেয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর এ মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে কয়েকদিন আগেই আবার যাদবপুরে এসেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে কালো পতাকা দেখাতে দেখা যায় বেশ কিছু নকশালপন্থী সংগঠনকে। তারপরই যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষস্তরের এই নেতা। এরপরই যাদবপুরে সমস্ত নকশালপন্থী ও বামপন্থী মৌলবাদী দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে বিজেপি। পথে নামে পদ্ম শিবির। নকশালপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও শিক্ষমন্ত্রীর কাছে দরবার করেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা।
আরও পড়ুন – ধস নামল অরুণাচলেও , ঋষিকেশ-বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কে ফাটল
প্রসঙ্গত, বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর বারবাবর খবরে উঠে এসেছে ক্যাম্পাসের অন্দরের ব়্যাগিং চর্চা। প্রশ্নের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়েক অভ্যন্তরীন রাজনীতি। কাঠগড়ায় বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, ব়্যাগিং রোধে রাঘবন কমিটি, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট, ইউজিসি কারও নির্দেশই মানেনি যাদবপুর। এদিন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। যার নাম গোটা দেশে। কিন্তু, সাম্প্রতিককালে সেখানে একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। ইউজিসি গোটা বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। কোনও ছাত্রের ব়্যাগিং করার অধিকার নেই। রাজ্য সরকারের অবশ্যই হাইকোর্টের নির্দেশ মানা উচিত। এটা ওদের দায়িত্ব।”