“মোদীজীকে ফাঁসানোর জন্য সিবিআই আমায় চাপ দিয়েছিল” বিস্ফোরক দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

“মোদীজীকে ফাঁসানোর জন্য সিবিআই আমায় চাপ দিয়েছিল” বিস্ফোরক দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর , নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)-কে ফাঁসানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল অমিত শাহ(Amit Shah)-কে! বুধবার এমনটাই বিস্ফোরক দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কংগ্রেস (Congress) শাসিত ইউপিএ জমানায় (UPA Government) এই ঘটনা ঘটেছিল বলে জানান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, “ইউপিএ জমানায় গুজরাটে একটি ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় নরেন্দ্র মোদীকে ফাঁসানোর জন্য আমায় চাপ দিয়েছিল সিবিআই”। বুধবার একটি সংবাদমাধ্য়মের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বিরোধী দলগুলি যে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্য়বহারের অভিযোগ তুলছে, সে প্রসঙ্গে তাঁর কী মত। এর জবাবেই অমিত শাহ বলেন, ” কংগ্রেস সরকার থাকাকালীন সিবিআই আমার উপরে চাপ দিচ্ছিল মোদীজীকে ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় ফাঁসানোর জন্য। কিন্তু বিজেপি এই নিয়ে কখনও হই-হট্টগোল তৈরি করেনি।”

 

 

 

 

 

 

 

মানহানির মামলায় সুরাট আদালতের তরফে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করা এবং দুই বছরের সাজা ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধীই একমাত্র রাজনৈতিক নেতা নন যাকে আদালত সাজা দিয়েছে এবং তার জেরে তাঁর সাংসদ পদ খুইয়েছেন। উচ্চতর আদালতে যাওয়ার বদলে রাহুল গান্ধী অশান্তি সৃষ্টি করছেন এবং কান্নাকাটি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিজের ভাগ্য়ের জন্য দোষারোপ করছেন।”

 

 

 

 

অমিত শাহ বলেন, “আদালতের রায় নিয়ে যদি আপত্তি থাকে, তাহলে রাহুল গান্ধীর উচিত প্রধানমন্ত্রী মোদীর ঘাড়ে দোষ না চাপিয়ে উচ্চতর আদালতে যাওয়া। কংগ্রেস ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়ো ধারণা রটাচ্ছে যে আদালতের সাজার উপরে স্থগিতাদেশ ঘোষণা করা যায় না। আদালত চাইলেই সাজার উপরে স্থগিতাদেশ ঘোষণা করা যায়।” তিনি আরও বলেন, “রাহুল গান্ধী তাঁর সাজার উপরে স্থগিতাদেশ ঘোষণার জন্য কোনও আবেদনই করেননি। এটা কী ধরনের ঔদ্ধত্য? আপনি সুবিধা চাইবেন, সাংসদ পদে থাকতে চাইবেন, অথচ আদালতে যাবেন না। এই ঔদ্ধত্য আসে কোথা থেকে?”

 

 

 

 

 

 

 

রাহুল গান্ধীকে আরও আক্রমণ করে অমিত শাহ বলেন, “রাহুল গান্ধীর সম্পূর্ণ বক্তব্যটি শুনবেন। উনি শুধুমাত্র মোদীজীর সম্পর্কে কুকথা বলেছিলেন, তাই নয়। তিনি গোটা মোদী সম্প্রদায় ও ওবিসি সম্প্রদায় সম্পর্কে অবমাননাজনক মন্তব্য করেছিলেন। আমাদের দেশে আইন সুস্পষ্ট। প্রতিশোধমূলক রাজনীতির কোনও প্রশ্নই নেই। এটা সুপ্রিম কোর্টের আদেশ যা ওদের (কংগ্রেস) জমানাতেই দেওয়া হয়েছিল।”

 

 

 

 

 

আরও পড়ুন –

 

 

 

 

 

 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, লালু প্রসাদ যাদব, জে জয়ললিতা ও রসিদ আলভির মতো ১৭ জন রাজনৈতিক নেতা ইউপিএ জমানায় তাঁদের সাংসদ পদ খুইয়েছিলেন। ২০১৩ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, কোনও সাংসদ দোষী প্রমাণিত হলেই তাঁকে সাংসদ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। সেই সময় কেউ কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখাননি কারণ এটা আইন-শৃঙ্খলার দেশ।