কেদারনাথের ‘সোনার দেওয়াল’ নিয়ে ১২৫ কোটির দুর্নীতির অভিযোগ, কেদারনাথ মন্দিরের (Kedarnath Temple) দেওয়ালের সোনার পাত লাগানোকে কেন্দ্র করে যে অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্তে এবার বিশেষ কমিটি গঠন করছে উত্তরাখণ্ড সরকার। মন্দিরের গর্ভগৃহের দেওয়াল সোনায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে। আর সেই কাজেই ১২৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী সতপাল মহারাজ জানিয়েছেন, তাঁর দফতরের সচিব হরিচন্দ্র সেমওয়ালকে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কমিটিতে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও স্বর্ণকার রাখার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
এর আগে বদ্রীনাথ-কেদারনাথ টেম্পল কমিটির তরফ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গর্ভগৃহের দেওয়াল সোনার পাতে মুড়তে ২৩,৭৭৭.৮০০ গ্রাম সোনা লেগেছে, যার বর্তমান মূল্য ১৪.৩৮ কোটি টাকা। এছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে ১,০০১.৩০০ কেজি তামা, যার মূল্য ২৮ লক্ষ টাকা।
সম্প্রতি চারধাম মহা পঞ্চায়েতের ভাই প্রেসিডেন্ট তথা কেদারনাথের তীর্থ পুরোহিত সন্তোষ ত্রিবেদী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে দাবি করেছেন, গর্ভগৃহের দেওয়ালে সোনার বদলে লাগানো হয়েছে পিতল। এটা অন্তত ১২৫ কোটি টাকার দুর্নীতি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই দুর্নীতির অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর ও স্পর্শকাতর। যাঁকে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, মন্দিরের গর্ভগৃহের দেওয়ালে সোনার মোড়ক দিতে আইন মেনেই অনুদান গ্রহণ করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে মানা হয়েছিল বদ্রীনাথ-কেদারনাথ টেম্পল কমিটি আইন। রাজ্য সরকারের অনুমতি সাপেক্ষেই অনুদানের টাকায় কাজ হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সতপাল মহারাজ।
আরও পড়ুন – তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর পোস্টের অভিযোগে গ্রেফতার…
মন্ত্রী আরও জানান, ‘আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া’র তত্ত্বাবধানে মন্দিরের দেওয়ালে সোনার মোড়ক বসানোর কাজ হয়েছিল, সোনা কিনে দিয়েছিলেন ওই অনুদানকারী। এই কাজে মন্দির কর্তৃপক্ষের সরাসরি কোনও ভূমিকা ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি। কাজ শেষ হওয়ার পর বিল সহ নথিপত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে।