প্রেমিকের পকেটে টান ! ‘ভালবাসারই মরশুম’-এ পার্টনারকে উপহার দেবেন নাকি?
ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহও শুরু হয়ে গিয়েছে। আর আজ লাল গোলাপ দিয়ে প্রিয় মানুষকে প্রেম নিবেদনের দিন। রোজ় ডে। লাল গোলাপ প্রেম, আবেগ, রোম্যান্সের প্রতীক। ‘আমি তোমাকে ভালবাসি’ বলার জন্য কয়েক হাজার টাকা দিয়ে ‘লাল’ গোলাপ কিনছে যুবক। আর যে প্রেমিকের পকেটে টান, তাঁকেও কয়েক শো টাকা খরচ করতে হচ্ছে গোলাপ কেনার জন্য। কাঁটাবিহীন লম্বা ডাঁটার গোলাপে দিয়েই যে মনের কথা বলতে হবে। সুতরাং, গাঁটের কড়িও খসাতে হবে। একটা ‘ব্যাঙ্গালোর রোজ়’-এর দামই প্রায় ৬০ টাকা। সেখানে এক গোছা ফুলের তোড়া কিনতে গেলে কয়েক শো টাকা চাই-ই চাই।
এমনই দিনে দেশি গোলাপ বিক্রি হয় ৫-৬ টাকায়। কিন্তু প্রেমের মরশুমে দেশীয় গোলাপের খুব একটা কদর নেই। ভিক্টোরিয়ার ফুটপাত ধরে হাঁটতে-হাঁটতে যদি না কোনও খুদে দু’টো গোলাপ নিয়ে আপনার দিকে এগিয়ে আসে। খুদের মন রাখতে আর পাশে প্রেমিকাকে ইম্প্রেস করতে একটা গোলাপ কিনে নিন ১০-২০ টাকা দিয়ে। কিন্তু যখন ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ শুরু হয়, তখনই চাহিদা বাড়ে ব্যাঙ্গালোর রোজ়ের। রোজ় ডে দিয়ে যেহেতু সপ্তাহের শুরু, তাই-ই কোনও ভুলচুকও করা যাবে না। কিন্তু এত বেশি কেন চাহিদা ব্যাঙ্গালোর রোজ়ের?
আরও পড়ুন –রেলযাত্রীদের জন্য সুখবর! ট্রেনে বসেই হোয়াটসঅ্যাপে অর্ডার করা যাবে পছন্দের খাবার
প্রেমের মরশুমে ‘টেক সিটি’ বেঙ্গালুরুর একটু বেশি কদর বাড়ে। এখানেই যে উৎপাদিত হয় ‘ডাচ রোজ়’। যদিও ‘ব্যাঙ্গালোর রোজ়’ নামেই এর জনপ্রিয়তা বেশি। ভারতের নানা প্রান্তে যে গোলাপ রপ্তানি হয়, তা এই শহর থেকেই। প্রেমের মরশুমে প্রতিদিন প্রায় ৪-৫ লক্ষ গোলাপ রপ্তানি হয় দেশের বিভিন্ন জায়গায়। বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত কর্ণাটকের বিভিন্ন গ্রামে এই গোলাপ চাষ হয়। ডদ্দাবল্লাপুরা, আনেকল, তুমাকুরু বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ২ হাজার একর জায়গা জুড়ে গোলাপ চাষ হয়। ৯০-এর দশক থেকে এখানে ডাচ গোলাপ চাষের জনপ্রিয়তা বাড়ে। কর্ণাটকের মাটিতে যে গোলাপ চাষ হয়, তা শুধু ভারতের বিভিন্ন প্রান্তেই রপ্তানি হয়, এমনটা নয়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দুবাই, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজ়িল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডের মতো দেশেও এই ডাচ গোলাপ রপ্তানি করা হয়। এই তালিকায় রয়েছে জাপান, মালেশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো এশিয়ার দেশও।