শিলিগুড়ি অমরুত দুই- প্রকল্পের আওতায় মেগা জলপ্রকল্পের মূল্যায়ন করবে বিশেষজ্ঞ এজেন্সির ভ্যালিডেশন টিম

শিলিগুড়ি অমরুত দুই- প্রকল্পের আওতায় মেগা জলপ্রকল্পের মূল্যায়ন করবে বিশেষজ্ঞ এজেন্সির ভ্যালিডেশন টিম

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

শিলিগুড়ি অমরুত দুই- প্রকল্পের আওতায় মেগা জলপ্রকল্পের মূল্যায়ন করবে বিশেষজ্ঞ এজেন্সির ভ্যালিডেশন টিম। শিলিগুড়ি অমরুত দুই-য়ের মেগা জলপ্রকল্পের মূল্যায়ন করবে ভ্যালিডেশন টিম। বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে শহরের মেগা জল প্রকল্পের আয়তায় গাজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে পুরো প্রকল্পটির পুনরায় মূল্যায়ন করা হবে। অমরুত দুই প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যেই প্রযুক্তি ও কারিগরিতে উল্লেখ্যযোগ সংস্থার চার সদস্যের এই টিম কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে এসে পৌঁছেছে।

 

তিস্তার জল পরিশোধিত করে সরবরাহ করা হবে শিলিগুড়ি শহরে। তাই গাজলডোবা থেকে প্রকল্পের বিস্তৃন অংশ জুড়ে জল প্রকল্পের ডিপিআরে থাকা নকশা ধরে পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ করবে বিশেষজ্ঞ সংস্থা। ডিপিআর এর নকশার সঙ্গে প্ৰকল্প বাবদ অনুমোদিত ব্যয়ের সঙ্গে বাস্তবিক সামঞ্জস্য রয়েছে কিনা সরজমিনে তা খতিয়ে দেখবে এই টিম। একইসঙ্গে ১৩৫ এমএলডি সম্পন্ন মেগা জলপ্রকল্পের খুঁটিনাটি পাশাপাশি শহরের সমস্ত ওভার হেড রিজার্ভার গুলিরও সার্ভে করে রিপোর্ট পেশ করবে টিম।

 

দীর্ঘ দশকের শিলিগুড়ি শহরবাসীর পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে বোর্ডের ক্ষমতা এসেই উদ্যোগ গ্রহন করা। দ্রুত নগরায়নের কারণে বর্তমানে শহরে পানীয় জলের সংস্থান ৫৫ এমএলডি হলেও জলের চাহিদা রয়েছে ৭৭এমএলডি। আবার ৫৫ এমএলডি জল সরবরাহের কথা হলেও সে পানীয় জল শহরের বিভিন্ন জায়গায় সঠিকভাবে পৌছয় না। চাহিদার তুলনায় সংস্থান কম থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই পানীয় জলক্লিষ্টতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে নাগরিকদের।

 

তবে বর্তমান বোর্ড পুরো নিগমের ক্ষমতায় আসার পরে ছয় মাসের মধ্যে দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান করে রাজ্য সরকারের তরফে শিলিগুড়ি শহরে ৫০০কোটি টাকা ব্যয়ে মেগা জলপ্রকল্প এর বাস্তবায়নের অনুমোদন হাসিল করে। অমরুত-২ প্রকল্পের আওতায় এই কাজ হতে চলেছে। অমরুত দুই প্রকল্পের ক্ষেত্রে ৬৭শতাংশ অর্থ দেবে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের অংশীদারিত্ব মাত্র ৩৩ শতাংশের। যদিও প্রথমে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের তরফে বেশ কয়েক বছর আগে এই প্রকল্প নেওয়া হয়। তবে বর্তমানে এই মেগা জলপ্রকল্পের কাজটি করবে পুরনিগম এবং রাজ্য সরকারের কেএমডি।

 

মূলত ১৩৫এমএলডির এই জল প্ৰকল্প। বর্তমানে মহানন্দা নদী থেকে জল পরিশোধিত করে তা সরবরাহ করা হয় শিলিগুড়ি পুরো নিগম ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। মেগা জল প্রকল্পে গজলডোবার তিস্তা থেকে জল এনে তা পরিশোধিত করে শিলিগুড়ি শহরের সহ সংলগ্ন বিস্তৃন এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। অমরুত দুয়ের আওতায় এই প্রকল্পের কাজের জন্য অর্থও বরাদ্দ হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়াও গিয়েছে পুরনিগম। ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত খোলা রয়েছে টেন্ডার। বেশ কয়েকটি এজেন্সির সারাও মিলেছে। তবে আরও কিছুদিন এই টেন্ডারের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে বলে পুরনিগম সূত্রের খবর।

 

ইতিমধ্যেই প্রকল্পে পুরনিগমের নোডাল অফিসার সহ অন্যান্যদের সঙ্গে কলকাতায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক চলছে। কাজ শুরু আগেই ডিপিআর ও চূড়ান্ত নকশা ধরে অমরুত দুই প্রকল্পের আওতায় গাজলডোবা তিস্তা থেকে জল প্রকল্পের বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করবে বিশেষজ্ঞ বেসরকারি এজেন্সি। পুরো প্রকল্পের খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করে ভ্যালিডেশন অর্থাৎ পুনঃ মূল্যায়ন করবে এই টিম। অনুমোদিত অর্থের সঙ্গে নকশা অনুযায়ী কাজ করতে আদেও কতটা খরচ হবে তা যাচাই করবে চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম। এই টিমে চার বিশিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি কারিগরি প্রযুক্তি কর্মীরা রয়েছেন।

আরও পড়ুন – মধ্যপ্রদেশে পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির বড় জয়

পরবর্তীতে নকশা অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করতে হলে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তাও নকশা ধরে অংক কষে দেখবেন তারা। এই বিষয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগমের পানীয় জল বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত বলেন আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই টিম পর্যবেক্ষণ করবে। পুরনিগমের এতবড় প্ৰকল্প এর আগে হয়নি। এটা দৃষ্টান্ত বলা যেতে পারে পুরো নিগমের ইঞ্জিনিয়াররা আভ্যন্তরীণ সার্ভে করছেন। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় গিয়ে বিশেষজ্ঞ এজেন্সি দিয়ে এই জলপ্রকল্পের বিস্তারিত সমীক্ষা করা হচ্ছে। কলকাতা টিম ইতোমধ্যেই পুরনিগমের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ শুরু করেছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top